গত বছরের অক্টোবর থেকে অভিযুক্ত কিরণভাই কাশ্মীরে আসা শুরু করেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ কর্তার পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন বিলাসবহুল হোটেলে নিশিযাপন। সরকারের টাকায় খানাপিনা, ঘুরে বেড়ানো। পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের জালে ‘কনম্যান’ কিরণভাই প্যাটেল। তিনি গুজরাতের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের অক্টোবর থেকে অভিযুক্ত কিরণভাই কাশ্মীরে আসা শুরু করেন। পরিচয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের শীর্ষ আধিকারিক হিসাবে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন তিনি। এমনকি গ্রেফতার হওয়ার আগে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে উরির কামান পোস্ট, নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) আশপাশের এলাকা এবং শ্রীনগরের লাল চক সংলগ্ন এলাকাও তিনি পরিদর্শন করেন। সরকারি টাকায় দীর্ঘ দিন বিলাসবহুল হোটেলে থাকা এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও পাকা করেছিলেন। তাঁর নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল এক জন নিরাপত্তা কর্মীও।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কেন এত দেরি করে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েও পুলওয়ামার ডেপুটি কমিশনার বশির উল হক এবং পুলিশ সুপার জুলফিকার আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, গুজরাত পুলিশের একটি দলও এই তদন্তে যোগ দিয়েছে।