রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই
একশো দিন ধরে প্রায় ২,৮০০ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পরে রাহুল গান্ধী আজ বললেন, ‘‘আমার কথা লিখে নিন। কংগ্রেসই বিজেপিকে বরাস্ত করবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, আম আদমি পার্টি (আপ) না থাকলে গুজরাতেও কংগ্রেস বিজেপিকে হারাত।
ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত রাহুল গান্ধী এ বার গুজরাতের বিধানসভা ভোটের প্রচারে যাননি। গুজরাতে বিজেপি যেমন এ বার রেকর্ড সন খ্যক আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছে, তেমন কংগ্রেস গুজরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসন পেয়েছে। আজ রাহুল গুজরাতের ফল নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলে বলেছেন, আপ বিজেপির ‘প্রক্সি’ হিসেবে কাজ করেছে। আপ না থাকলে কংগ্রেসই ভোটে জিতত। একই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসই বিজেপিকে হারাবে দাবি করে রাহুল বলেন, ‘‘কংগ্রেস শেষ হয়ে যাচ্ছে, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, এ সব কষ্টকল্পনা।’’
রাহুলের এই দাবির পরে বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালবীয় কটাক্ষ করে প্রশ্ন তুলেছেন, “কংগ্রেস কী ভাবে বিজেপিকে হারাবে? যে ভাবে গুজরাতে বিজেপিকে হারিয়েছে?” আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডার কটাক্ষ, আপ না থাকলে কংগ্রেস কী ভাবে গুজরাতে বিজেপিকে হারাত? যে ভাবে গত ২৭ বছর হারিয়ে এসেছে? বিজেপি, আপের কটাক্ষ সত্ত্বেও রাহুল আজ ফের যুক্তি দিয়েছেন, কংগ্রেস অন্যান্য আঞ্চলিক বিরোধী দলের চেয়ে আলাদা। কারণ কংগ্রেস জাতীয় মতাদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস অন্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সে বিষয়ে উদ্যোগী হবেন। আজ একশোতম দিনে রাজস্থানের দৌসাতে বিজেপির দফতরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে রাহুল বিজেপি কর্মীদের ‘জয় সিয়ারাম’ বলে সম্বোধন করে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার ডাক দেন। বিজেপি কর্মীরাও ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দেন।
ভারত জোড়া যাত্রার একশো দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রাহুল জয়পুরে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। পাশে ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। প্রথমে সচিন পাইলটের এলাকা দৌসাতে সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। রাহুল অবশ্য গহলৌত বনাম পাইলটের বিবাদকে ‘দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র’ বলে লঘু করার চেষ্টা করেছেন। রাজস্থানের নেতৃত্ব নিয়ে কংগ্রেস কোনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে না বলে তাঁর দাবি, এ নিয়ে দলের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি নেই। কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে সিদ্ধান্ত নেবেন। দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আগামী বছর রাজস্থানের ভোটে প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি।