রাহুলের উত্তরসূরি কি শীঘ্রই?

সনিয়া ও রাহুল অবশ্য সভাপতি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখছেন। সুশীলকুমার শিন্দের মতো ‘অনুগত’ নেতার হাতে এই দায়িত্ব দিতে আপত্তি ছিল না গাঁধী পরিবারের।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা বিদেশ থেকে ফেরার পরেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা নিয়ে তৎপরতা বাড়ল কংগ্রেসে। সূত্রের মতে, রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাম স্থির হলেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে।

Advertisement

সনিয়া ও রাহুল অবশ্য সভাপতি বাছাই প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখছেন। সুশীলকুমার শিন্দের মতো ‘অনুগত’ নেতার হাতে এই দায়িত্ব দিতে আপত্তি ছিল না গাঁধী পরিবারের। কিন্তু আহমেদ পটেল, অশোক গহলৌতের মতো নেতারা এখন দলের রাশ সাময়িক ভাবে হাতে নিয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রের মতে, তাঁরা মল্লিকার্জুন খড়্গে কিংবা শিন্দের মতো নেতাদের সভাপতি করতে চাইছেন না। কারণ, তাঁরা আঁচ করছেন, গাঁধী পরিবারের অনুগত কাউকে সভাপতি পদে বসালে ভবিষ্যতে রাহুল কিংবা প্রিয়ঙ্কা ফের রাশ ধরতে পারেন।

এই ‘অভিসন্ধি’-র আঁচ পেয়েই একের পর এক নেতা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কখনও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ তরুণ তুর্কিদের সভাপতি করতে বলছেন। কখনও দশ জনপথের একদা-ঘনিষ্ঠ নেতা জনার্দন দ্বিবেদী সাংবাদিক সম্মেলন করে আহমেদ পটেলদের তোপ দাগছেন। এমন এক পরিস্থিতিতে আজ নিজের রাজ্য রাজস্থানে বাজেট পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত বলেন, রাজ্যের গ্রামবাসীরা তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। এ কথা বলে গহলৌত বুঝিয়ে দিলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ তিনি ছাড়তে রাজি নন। যদিও কংগ্রেসের আর এক শিবির বলছে, এর মানে এই নয় যে, গহলৌত সভাপতি হতে চান না। রাজস্থানের গদি রেখেই কংগ্রেসের সভাপতি পদের দিকে নজর রয়েছে তাঁর।

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement