রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গে এখনও শুরুই হয়নি রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। তার আগেই হোঁচট। কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হল কংগ্রেস। কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে এক ব্যক্তির জমিতে মঞ্চ বাঁধি।’’ পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। পরে কংগ্রেস সেই মঞ্চ রাস্তার উল্টো দিকে করেছে।
অদলবদল হল রাহুলের সূচিতেও। সৌজন্যে জলপাইগুড়ি পুলিশ। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সীরহাট দিয়ে রাহুল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবেন। ২৮ জানুয়ারি তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু সে দিন রবিবার, পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদল হচ্ছে। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলাবে।
কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গ তো ইন্ডিয়া জোট শরিকদের রাজ্য। সেখানে এমন কেন হবে?
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন। রাহুলের যাত্রার প্রাক্কালে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রয়েছেন এআইসিসি-র সদস্য বিপি সিংহও। তবে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে তারা কেউই কিছু বলতে চাননি। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, তিন জেলাতেই তৃণমূল কী করবে, তাই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগই এই নিয়ে চুপ। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন।