Parliament Winter Session

সংসদ নিয়ে অবস্থান বদল কংগ্রেসের, আলোচনার আহ্বান

দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরু হওয়ার মুখে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির চাপে কংগ্রেসও এখন চাইছে আদানির পাশাপাশি আলোচনা হোক উত্তরপ্রদেশের সম্ভল, দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলি নিয়েও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:২০
Share:

সংসদ। —ফাইল চিত্র।

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহ ভেস্তে গিয়েছে কংগ্রেসের তরফে শিল্পপতি গৌতম আদানির ব্যাপারে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবিতে। দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরু হওয়ার মুখে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির চাপে কংগ্রেসও এখন চাইছে আদানির পাশাপাশি আলোচনা হোক উত্তরপ্রদেশের সম্ভল, দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মতো বিষয়গুলি নিয়েও। অধিবেশনের দ্বিতীয় সপ্তাহ শুরুর মুখে কংগ্রেসের বক্তব্য, সরকারই তো কার্যত পালিয়ে যাচ্ছে আলোচনা থেকে। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে কোন বিষয় তোলা হবে তার কৌশল ঠিক করার জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় অফিসে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের ডাকা হচ্ছে সোমবার সকালে। দলের বক্তব্য, তৃণমূল-সহ সব শরিক দল আসুক। একসঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে কৌশল স্থির হোক।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, ওই বৈঠকে তাদের যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কংগ্রেস একটি সপ্তাহ নষ্ট করেছে আদানি নিয়ে হই-হল্লা করে, ফলে মানুষের সঙ্গে যুক্ত বিষয় তোলা যায়নি। এখন চাপে পড়ে তারা অন্যদের বিষয়কেও সঙ্গে রাখতে চাইছে। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমরা গোড়া থেকেই ছ’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা চাইছি ও বাংলার প্রতিকেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা আমাদের অগ্রাধিকার। সংসদ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আমরা সমর্থন করি না।’’

সূত্রের খবর, আগামিকাল লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংবিধান নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোনও সময়ও এর জন্য বরাদ্দ করা হয়নি এখনও। তবে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি চাইছে সোমবার অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক পরেই লোকসভায় সম্ভল নিয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট বলার সুযোগ তাদের দিতে হবে। যদি তা না দেওয়া হয়, তা হলে এসপি-র পক্ষ থেকে প্রতিবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে তৃণমূলও যোগ দেবে।

Advertisement

অন্য দিকে কংগ্রেসের উপর বাম দলগুলিও চাপ দিচ্ছে সংসদ চালাতে এগিয়ে আসার জন্য। বলা হচ্ছে, সংবিধান নিয়ে আলোচনার মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে সম্ভল-আদানি-দিল্লি সরকারকে এড়িয়ে এলজি-কে দিয়ে প্রশাসন চালানোর মতো যাবতীয় বিষয় সামনে নিয়ে আসা যাবে। পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস একটি বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কেরলের ওয়েনাড়ে জয়ী নতুন সাংসদ এবং প্রাক্তন সাংসদ অর্থাৎ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা সেখানকার জমি ধসের বিষয়টি নিয়ে কবে সংসদে বলবেন? অর্থাৎ তিনি চাইছেন কেরলের ওই দুর্দশা এবং কেন্দ্রের অবহেলা নিয়ে সংসদে মুখ খুলুন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement