বিধান ভবনে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র বাংলার অংশের ঘোষণা। নিজস্ব চিত্র।
রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অঙ্গ হিসেবে আগামী ডিসেম্বরে সাগর থেকে পাহাড় পর্যন্ত পদযাত্রায় বেরোবে কংগ্রেস। পদযাত্রা শুরু হওয়ার প্রাথমিক তারিখ ঠিক হয়েছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। যে দিন কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। তার আগে জেলায় এবং ব্লকে ব্লকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ সম্পর্কিত প্রচার চলবে।
বিধান ভবনে মঙ্গলবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র বাংলার অংশ ঠিক করার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক এ চেল্লাকুমারও বৈঠকে ছিলেন। ঠিক হয়েছে, কাকদ্বীপ ও দিঘা থেকে দু’টি পদযাত্রা এসে মিলবে কলকাতায়। তার পরে কলকাতা থেকে মিলিত পদযাত্রা যাবে উত্তরবঙ্গের দিকে। কোন জেলায় কত দিন লাগবে, কোন পথ ধরে এগোনো হবে, সে সব কিছু চূড়ান্ত করার ভার আনুষ্ঠানিক ভাবে দেওয়া হয়েছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র এ রাজ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। পরে সাংসদ প্রদীপবাবুকে পাশে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ ডিসেম্বর থেকে আমরা ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র বাংলার অংশ শুরু করব। প্রায় ৪০-৫০ দিন পদযাত্রা চলবে। তার আগে ব্লকে ব্লকে কংগ্রেস কর্মীরা মানুষের কাছে যাবেন। যে জেলা দিয়ে পদযাত্রা যাবে এবং যে জেলা দিয়ে যাবে না, সব জায়গাতেই এই প্রচার হবে। তার পরে সবটা এসে মিলবে পদযাত্রায়।’’ অধীরবাবুর কথায়, ‘‘এটা শুধু পদযাত্রার জন্য পদযাত্রা নয়, একটা আন্দোলন।’’
মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশনের মেধা তালিকায় থাকা চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থানেও এ দিন গিয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি। প্রতিনিধিদলে ছিলেন অসিত মিত্র, কৌস্তুভ বাগচী, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সৌম্য আইচ রায়, জয়ন্ত দাসেরা। রাজ্যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ মদতে ‘সংগঠিত লুট’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীরাবু। কলকাতায় এ দিন বামেদের বিপুল ভিড়ের যুব সমাবেশকেও ‘স্বাগত’ জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। তাঁর মতে, স্বৈরাচারী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কবল থেকে বাংলাকে বার করে আনতে আন্দোলন চাই। বামেরা সংগঠিত ভাবে রাজ্য জুড়ে যে আন্দোলন তৈরির চেষ্টা করছে, তার প্রশংসাই করেছেন অধীরবাবু।
তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জন-বিরোধী নীতির প্রতিবাদে এবং ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমর্থনে এ দিনই দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের ডাকে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা ছিল। শামিল হয়েছিলেন সাংসদ প্রদীপবাবু, শুভঙ্কর সরকার, প্রদীপ প্রসাদ, কৃষ্ণা দেবনাথ, তাপস মজুমদার, তপন আগরওয়াল, সুবীর চৌধুরীরা। কালীঘাটে পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ-সভা করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।