প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মতোই গোয়ায় কংগ্রেসে ভাঙন ধরছিল! কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিজেপির ‘কৌশল’ কংগ্রেস নেতৃত্ব বানচাল করে দিয়েছেন বলে দাবি করছেন সে দলের একাংশ। সূত্রের খবর, এ যাত্রায় গোয়ায় কংগ্রেসের দুর্গ বেঁচে গেলেও ‘বিক্ষুব্ধ’দের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি।
এনডিটিভি সূত্রে খবর, কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়কের মধ্যে কমপক্ষে আট জন বিজেপিতে যোগ দিতে চান। সূত্রের দাবি, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এ জন্য বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত।
কংগ্রেস সূত্রের দাবি, গোয়ায় তাদের ছয় বিধায়ককে নেওয়ার ছক কষেছিল বিজেপি। এই বিধায়কদের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ রেখেছিলেন বিজেপির এক শীর্ষ নেতা। এমনকি, বিধায়ক পিছু ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে দলবদলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন কয়েক জন বিধায়ক। আর এর জেরেই ওই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
মাইকেল লোবো ও দিগম্বর কামাতের সঙ্গে বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে তাঁদের বিধায়কপদ বাতিল করতে স্পিকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও ওই দুই বিধায়ক দাবি করেছেন যে, তাঁরা কংগ্রেসেই রয়েছেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, কয়েক জন বিধায়ককে ‘চোখে চোখে রাখা হচ্ছে’।
অন্য দিকে, কংগ্রেসের অন্দরে অসন্তোষে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের সাম্প্রতিক সঙ্কটে বিজেপির কোনও হাত নেই।’’ সোমবারই কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের দলের মধ্যে আর কোনও অসন্তোষ নেই।