মতাদর্শগত কারণে কংগ্রেস ছাড়লেন জম্মু-কাশ্মীরের নেত্রী দীপিকা পুষ্কর নাথ। — ফাইল ছবি।
জম্মু-কাশ্মীরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ প্রবেশ করার আগেই বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। টুইট করে দল ছাড়লেন জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের মুখপাত্র দীপিকা পুষ্কর নাথ। দীপিকার অভিযোগ, কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডে খোলাখুলি ধর্ষকদের সমর্থন জানানো নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী লাল সিংহকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হাঁটতে দেখা যাবে। তাই আদর্শগত কারণেই তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা দীপিকার পক্ষে সম্ভব নয়।
লাল সিংহকে কাঠুয়া ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের সমর্থক হিসাবে দাবি করে দীপিকা লিখেছেন, ‘‘এর পর আর ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আমার কাছে কোনও উপায় থাকে না।’’ তাঁর দাবি, আদর্শগত কারণেই তাঁর লাল সিংহের সঙ্গে একই মঞ্চে থাকা সম্ভব নয়। দীপিকার দাবি, লাল সিংহের অন্তর্ভুক্তি ভারত জোড়ো যাত্রারও পরিপন্থী। প্রসঙ্গত, মানবাধিকার বিষয়ে মামলা লড়েন দীপিকা। কাঠুয়ার নির্যাতিতাকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার একেবারে প্রথম সারিতেই তাঁকে দেখা যেত। এমনকি, প্রাথমিক পর্যায়ে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন এই দীপিকাই।
২০১৮-য় কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই সময় বিজেপি-পিডিপি সরকারে মন্ত্রী লাল সিংহ। তিনি প্রকাশ্যেই অভিযুক্তদের সমর্থন জানান। নিন্দার ঝড় ওঠে। চাপের মুখে মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় লাল সিংহকে। দু’বারের সাংসদ এবং তিন বারের বিধায়ক লাল সিংহ কংগ্রেস ছেড়েছিলেন ২০১৪-য়। যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পর ২০১৯-য়ে বিজেপিও ছাড়েন তিনি। তৈরি করেন নিজের দল ডোগরা স্বাভিমান সংগঠন পার্টি (ডিএসএসপি)।
আগামী শুক্রবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করবেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি যাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা উপত্যকার অন্যান্য বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতৃত্বের। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, পিডিপির মেহবুবা মুফতি, সিপিএম নেতা এম ওয়াই তারিগামির পা মেলানোর কথা কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায়। কিন্তু তার আগেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখপাত্রের দল ছাড়ায় চাপ বাড়ল কংগ্রেসের।