প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আচমকাই বিজেপির সদর দফতরের সামনে হাজির হয়ে বিক্ষোভে বসে পড়েছিলেন মহিলা কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা। শাকসবজি থেকে রোজকার খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছিল। দিল্লি পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভ তোলার চেষ্টা করেনি। কংগ্রেস নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ আধিকারিকেরা মহিলাদের উপরে চড়াও হলেন। যথেষ্ট সংখ্যক মহিলা পুলিশ না থাকায় পুরুষ পুলিশই কুশপুতুল কাড়তে গিয়ে কংগ্রেসের এক মহিলা কর্মীকে ধাক্কা দিলেন। আর একজনের মুখে আঘাত লাগল। তারপরে সবাইকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হল।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে আজ তাঁকে ‘মেহঙ্গাই ম্যান’ তকমা দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের চেয়ারম্যান সুপ্রিয়া শ্রীনতে আজ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এক ঝুড়ি টোম্যাটো, লঙ্কা, আদা, রসুন নিয়ে হাজির হয়েছেন। তাঁর দাবি, ছোট্ট ঝুড়ির আনাজের দামই ১,০৫০ টাকা। এদিনই বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৭ টাকা বেড়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, একদিকে চাল, ডাল, সর্ষের তেলের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের দামও বেড়েছে। সাধারণ মানুষের চোখে তা ধরা পড়ছে না। বিস্কুট, চা-পাতা বা কফির প্যাকেট, চকোলেট, টোম্যাটো সস, প্যাকেটবন্দি মটর, বাদাম তুলে ধরে সুপ্রিয়া দেখিয়েছেন, এইসব পণ্যের দাম একই রয়েছে। কিন্তু প্যাকেট বন্দি খাবারের ওজন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশে গিয়ে দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় মূল্যবৃদ্ধির হার ভারতের থেকে অনেক বেশি। কংগ্রেসের অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেকারত্ব বেড়েছে। গত দু’বছরে বেকারত্বের হার চরমে। মোদী সরকার কিছুই করছে না। উল্টে সমস্যা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে।