Maharashtra Assembly Election 2024

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা কংগ্রেসে, আসন রফায় জোড়া কমিটি গড়লেন খড়্গে-রাহুলেরা

সাংগঠনিক ভাবে বৃহত্তর মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের অন্য জেলাগুলির জন্য দায়িত্বে রয়েছে কংগ্রেসের দু’টি পৃথক কমিটি। সেই ভৌগোলিক পরিসীমা মেনেই দু’টি পৃথক নির্বাচনী কমিটি গড়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে) মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

বিজেপির পরে এ বার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট নিয়ে তৎপরতা শুরু হল কংগ্রেসে। বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র দুই সহযোগী, উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (এস)-এর সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দু’টি পৃথক কমিটি গড়লেন।

Advertisement

সাংগঠনিক ভাবে বৃহত্তর মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের অন্য জেলাগুলির জন্য দায়িত্বে রয়েছে কংগ্রেসের দু’টি কমিটি। সেই ভৌগোলিক পরিসীমা মেনেই দু’টি পৃথক নির্বাচনী কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। মুম্বই বাদ দিয়ে অন্য অঞ্চলগুলিতে আসন সমঝোতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিতে রয়েছেন মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার, পরিষদীয় দলের চেয়ারম্যান বালাসাহেব থোরাট, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ এবং প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির তিন নেতা— নিতিন রাউত, আরিফ নাসিম খান ও সতেজ (বান্টি) পাতিল।

বৃহন্মুম্বই এলাকায় কংগ্রেস সভানেত্রী বর্ষা গায়কোয়াড়ের পাশাপাশি ভাই জগতাপ এবং আসলাম শেখ রয়েছেন দ্বিতীয় কমিটিতে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবরে হরিয়ানার সঙ্গে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ওই দু’রাজ্যের ফল দেখে সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে ইতিমধ্যেই মোদী মন্ত্রিসভার দুই সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব ও অশ্বিনী বৈষ্ণোকে নিয়োগ করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সে রাজ্যের এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

Advertisement

এ বারের লোকসভা ভোটে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যের (জনসংখ্যার নিরিখে) ৪৮টি আসনের মধ্যে এ বার উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনা, শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ জিতেছে ৩০টিতে। শাসক ‘মহাদ্যুতি’র ঝুলিতে মাত্র ১৭। সাংলি আসনে জয়ী নির্দল প্রার্থী কংগ্রেস শিবিরে ভিড়ে গিয়েছেন ইতিমধ্যেই। বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিতপন্থী এনসিপির পাশাপাশি এনডিএ-তে ছিলেন রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষের নেতা মহাদেব জানকর। পাশাপাশি রাজ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনস)-ও সমর্থন জানিয়েছিল এনডিএ-কে। তবুও বিপর্যয় এড়াতে পারেনি বিজেপি এবং তার সহযোগীরা।

লোকসভা ভোটে ১৩টি আসনে জিতে বৃহত্তম দল হয়েছে কংগ্রেস। সাংলি কেন্দ্রে জয়ী নির্দল প্রার্থীও ভোটের পরে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ‘হাত’ ধরার কথা ঘোষণা করেছেন। অন্য দিকে, লোকসভা ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবং উদ্ধবসেনা ন’টি করে আসনে জিতেছে। শিন্ডেসেনা সাতটি। শরদপন্থী এনসিপি (এস আটটি আসনে জিতলেও বিজেপির সহযোগী অজিতের ঝুলিতে মাত্র এক! লোকসভা ভোটের পর শিন্ডে এবং অজিতের শিবিরে ধারাবাহিক ভাঙনও চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে। শনিবার গোন্ডিয়ার শিবসেনা বিধায়ক রমেশকুমার খুটে শাসক শিবির ছেড়ে উদ্ধবপন্থী শিবসেনায় যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement