বাঁ দিকে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, ডান দিকে রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা বিআর অম্বেডকরকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে সংসদ ভবন চত্বরে শাসক এবং বিরোধীপক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। আর তারই জেরে এফআইআর হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের দুই সাংসদকে আঘাত করেছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে আড়াল করতে সেই অম্বেডকর-প্রসঙ্গকেই হাতিয়ার করল কংগ্রেস। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের দাবি, অম্বেডকর সম্পর্কে শাহের অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক ভাবে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নজর ঘোরাতেই রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘‘বাবাসাহেব অম্বেডকরের চেতনা রক্ষা করতে গিয়ে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন রাহুল।’’ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরকে ‘গর্ব’ বলেছেন বেণুগোপাল।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সংবিধান-বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এখন এক ফ্যাশন হয়েছে— অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর, অম্বেডকর। এত বার যদি ভগবানের নাম নিতেন তবে সাত জন্ম স্বর্গবাস হত।’’ তার পর শাহ বলেন, ‘‘১০০ বার অম্বেডকরের নাম নেওয়া হয়, কিন্তু আমি বলতে চাই তাঁর প্রতি আপনাদের অনুভূতি কী?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে অম্বেডকরের অনেক মতপার্থক্য ছিল। সেই কারণে নেহরুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।’’
এর পরে বুধবার সকালে সংসদের বাইরে মকর দ্বারের সামনে কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদেরা অম্বেডকরের ছবি হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সেখানে তাঁরা গেলে আগে থেকেই জড়ো হওয়া বিজেপি সাংসদেরা বাধা দেন। সে সময় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পান কেউ কেউ। লোকসভায় সাংসদ প্রতাপচন্দ্র ষড়ঙ্গীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দাওয়ার অভিযোগ ওঠে রাহুলের বিরুদ্ধে। চোট লাগে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা মল্লিকার্জুন খড়্গের পায়েও। ঘটনার জেরে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায়। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি এফআইআরের তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ (অপরাধদমন শাখা)।