—প্রতীকী চিত্র।
সনিয়া ও রাহুল গান্ধী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় ‘অন্য কোনও দিকে পা বাড়ানো প্রেক্ষাপট’ তৈরি করছেন কি না, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, “আমার মনে হচ্ছে, অন্য কাউকে খুশি করার জন্য এ সব লেখা হতে পারে।”
শর্মিষ্ঠা তাঁর বাবা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বইয়ে লিখেছেন, সনিয়া গান্ধী প্রণবকে প্রধানমন্ত্রী করতেন না। কারণ তিনি নিজের ও নিজের পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইতেন। এমন কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে চাইতেন, যিনি সনিয়ার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করবেন না। রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে প্রণবের সংশয় ছিল বলেও লিখেছেন শর্মিষ্ঠা। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী প্রণবের সঙ্গে দেখা করতে এলেই পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেন বলেও জানিয়েছেন শর্মিষ্ঠা।
শর্মিষ্ঠা দিল্লিতে কংগ্রেসে বেশ কয়েক বছর সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করেছেন। দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র ছিলেন, মহিলা প্রদেশ কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন। ২০১৫-য় দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে হেরে যান। অধীরের প্রশ্ন, “তখন তো এ সব কথা শুনিনি। এখন যিনি নেই তাঁর সম্পর্কে এ সব কথা বলা হচ্ছে। অন্য কাউকে খুশি করতে হতে পারে। অন্য জায়গায় যাওয়ার ভূমিকা হতে পারে।” অধীর বলেন, প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজেই তাঁর আত্মজীবনী লিখে গিয়েছেন। সেটা পড়লেই তাঁর মনের কথা বোঝা যাবে।
শর্মিষ্ঠার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজের কন্যা ওশানি ফার্নান্ডেজ। অস্কারও প্রণবের সঙ্গে ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ওশানির বক্তব্য, “কংগ্রেসে এত সুযোগ, এত পদ পাওয়ার পরে এই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। আমার বাবা অরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে উঠে এসেছিলেন। তা-ও তিনি কংগ্রেসের উচ্চপদে উঠে এসেছিলেন, কারণ তাঁর পরিশ্রম, সততার মূল্য দেওয়া হয়েছিল।”