Vande Bharat Express

‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এগোতে হবে’! মোদীর বন্দে ভারতের কেরলযাত্রাকে স্বাগত তারুরের

আগামী ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদী কেরলের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন শশীর লোকসভা কেন্দ্র তিরুঅনন্তপুরমে। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ শশী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:০৪
Share:

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কেরলে চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

অতীতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর এ বার দ্রুত গতির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর জন্য কেন্দ্রের স্তুতি করলেন।

Advertisement

আগামী ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মোদী কেরলের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন শশীর লোকসভা কেন্দ্র তিরুঅনন্তপুরমে। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শশীর টুইট, “১৪ মাস আগে কেরলের জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চেয়ে আমার টুইটগুলির কথা মনে এল। অশ্বিনী বৈষ্ণো (কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী) তা বাস্তবায়িত করায় আমি আনন্দিত। নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৫ তারিখ তিরুঅনন্তপুরম থেকে প্রথম ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এগিয়ে যেতে হবে।’’

প্রায় এক বছর আগে চালু হওয়া বন্দে ভারত উন্নত প্রযুক্তির ট্রেন হলেও পরিষেবা এবং সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে নতুন কোনও ‘চমক’ দিতে পারেনি। উল্টে খাবার এবং সার্বিক পরিষেবা নিয়ে সমাজমাধ্যমে কার্যত নেতিবাচক প্রচার চলছে ধারাবাহিক ভাবে। দ্রুতগামী ট্রেনটির চাকায় গরু, মোষ এমনকি, মানুষ কাটা পড়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিক বার। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ট্রেন কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তারুরের কেন্দ্র-স্তুতি ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

Advertisement

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিপুল জয়ের পরে আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমে শশী লিখেছিলেন, ‘‘মোদীকে এত দিন বিভাজনের রাজনীতির মুখ হিসাবেই দেখেছেন তাঁর বিরোধীরা। কিন্তু ভোটে জেতার পর তিনি যে ভাবে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সকলকে নিয়ে চলার কথা বলছেন, তা কিছুটা বিস্ময়ের। তাঁর এই অবস্থানকে স্বাগত না জানিয়ে কেবল বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করাটা ভুল হবে।’’ সে সময় কংগ্রেসের অন্দরে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। গত বছর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খড়্গের কাছে হারার পর প্রকাশ্যে ‘অনিয়মের অভিযোগ’ তুলেও বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তারুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement