হোটেলে কংগ্রেস বিধায়করা। ছবি: সংগৃহীত।
রাজনৈতিক লড়াই তো আছেই, তা বলে কি জীবনে ‘শখ-আহ্লাদ’ বলে কিছু থাকবে না!
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের শিবিরের কংগ্রেস বিধায়কেরা এখন পাঁচতারা হোটেলে বসে সেই সব শখ মিটিয়ে নিচ্ছেন। সরকারে সঙ্কটের মেঘ ঘনিয়ে উঠতেই নিজের ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের একজোট রাখতে তাঁদের গত সোমবার থেকে একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঠিয়েছেন গহলৌত। জয়পুরের দিল্লি হাইওয়ের উপরে সেই হোটেলে বসে বিধায়কেরা কেউ যোগব্যায়াম করছেন। কেউ আবার শেফের কাছ থেকে শিখে নিচ্ছেন হরেক রান্না। চলছে সিনেমা দেখাও। গত কালই যেমন সবাই মিলে মুঘল-এ-আজম দেখেছেন।
বিদ্রোহী উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট এবং তাঁর ১৮ জন অনুগামীর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার নোটিস পাঠিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে গিয়েছেন সচিনেরা। তাঁদের স্বস্তি দিয়ে স্পিকারের নোটিসের জবাব দেওয়ার সময় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
কোর্টে এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের আগে গহলৌত-অনুগামীদের হোটেল-বাসের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে হোটেলের লনে ব্যায়াম করছেন বিধায়কেরা। ক্যারম খেলছেন, জন্মদিন পালন করছেন। শেফের কাছে ভিড় করে দাঁড়িয়ে শিখছেন কী করে রাঁধতে হয় পিৎজ়া, পাস্তা ও বাটার নান। এই রান্নার ‘ক্লাসে’ রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মমতা ভূপেশ, অলিম্পিয়ান কৃষ্ণা পুনিয়া-সহ বেশির ভাগ মহিলা বিধায়ক। শুধু তা-ই নয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিধায়কেরা দেখেছেন বিখ্যাত ছবি ‘মুঘল এ আজম!’ কিন্তু এই সব ভিডিয়ো-ছবি সামনে আসার পরেই কংগ্রেস বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোভিড সুরক্ষাবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি।