হেমন্ত সরেন। ফাইল চিত্র।
নগদ এক কোটি টাকা। সঙ্গে মিলবে মন্ত্রীর কুর্সিও। এমনই প্রলোভন দেখিয়ে ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সরেনের জোট সরকার ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনলেন কংগ্রেসের এক বিধায়ক। তাঁর দাবি, কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এই শর্ত রেখে বারবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার চক্রান্তের অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করার পরেই কংগ্রেসের কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোনগারি এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে অন্তত ৬ বার তাঁকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাদের কর্মীদের মাধ্যমে তিন জন লোক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা একই সংস্থায় কাজ করে বলে জানায়। আমি তাদের চলে যেতে বলি। কিন্তু তারা বারবারই একই প্রস্তাব নিয়ে আসে। এক বার নগদ এক কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল।’’ নমনের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিষদীয় দলনেতা আলমগীর আলম, এআইসিসি-র তরফে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আর পি এন সিংহকে বিষয়টি জানান। মুখ্যমন্ত্রীকেও এ কথা জানান তিনি। তবে এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি সিংহ। মুখ্যমন্ত্রীও নীরব। নমন আরও বলেছেন, ‘‘শুধু টাকা দেওয়াই নয়, আমাকে মন্ত্রীও করা হবে বলে জানিয়েছিল ওরা। সংখ্যালঘু ও জনজাতি উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে পুরোপুরি ভাবে সমর্থনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।’’
ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেসের জোট সরকারকে ফেলার চক্রান্ত করার অভিযোগে গত শনিবার অভিষেক দুবে, অমিত সিংহ ও নিবারণপ্রসাদ মাহোতো নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দু’দিন আগে বেরমোর কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল রাঁচীর কোতয়লি থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। তার পরেই ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতির পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও দেওয়া হয়েছে। তবে নমন জানিয়েছেন, ধৃত ওই তিন জনই তাঁকে প্রলোভন দেখিয়েছিল কি না, তা বলতে পারবেন না তিনি। কারণ, যারা প্রস্তাব দিয়েছিল, তাদের দেখতে কেমন ছিল, তা ভুলে গিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস বিধায়ক নমন বিক্সাল কোনগারির কথায়, ‘‘ওই তিন জন আমাকে জানিয়েছিল, বিজেপির জন্য এ কাজ করছে তারা। তবে বিজেপির কোনও নেতা আমাকে এই ধরনের প্রস্তাব দেননি।’’ অভিযুক্ত নিবারণপ্রসাদ মাহাতোর ফেসবুক পেজে ধানবাদের বিজেপি সাংসদ পশুপতি নাথের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। তবে মাহাতোর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন দলের ঝাড়খণ্ডের মুখপাত্র প্রতুল সহদেও। তাঁর কথায়, ‘‘যত দূর জানি, মাহাতো বিজেপির সদস্য নয়।’’