ফাইল ছবি।
রাহুল গাঁধী, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর পর এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে। দেশে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে দলমত নির্বিশেষে সকলের মতামত শোনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে। যাতে সকলে মিলে এই অতিমারির মোকাবিলায় একটি আদর্শ নীল নকশা তৈরি করতে পারেন। এর পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব নাগরিকের টিকাকরণ করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন খাড়গে।
চিঠিতে খাড়গে লিখেছেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গ মানুষকে বাধ্য করছে তাঁদের প্রিয়জনদের বাঁচানোর জন্য জমি, বাড়ি, গয়না বেচে দিতে, ব্যাঙ্কের পুঁজির সবটুকু খুইয়ে ফেলতে’।
এও লিখেছেন, ‘সরকারি গাফিলতিতে দেশের নাগরিকদের এখন যে অস্বাভাবিক রকমের যুদ্ধ লড়তে হচ্ছে জাতীয় স্তরে, তার থেকে মানুষকে বাঁচাতে কোভিড মোকাবিলায় যৌথ ভাবে সর্বসম্মত পদক্ষেপের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে’। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খাড়গের অনুরোধ, টিকাকরণের জন্য যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে তা যেন সর্বাংশে মানুষের কাজে লাগে। এই কর্মসূচিতে যেন দেশের সব নাগরিককেই যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়া হয়।
বাজারে আরও টিকা আনার ক্ষেত্রে সরকার কী কী ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে, সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কয়েকটি সুপারিশ করেছেন খাড়গে। তাঁর অনুরোধ, দেশে টিকার উৎপাদন বাড়াতে লাইসেন্স দেওয়ার নিয়মকানুন শিথিল করা হোক, খুব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর থেকে কর মকুব করা হোক। খাড়গের প্রস্তাব, ‘টিকার উপর থেকে ৫ শতাংশ, পিপিই কিটের উপর ৫ থেকে ১২ শতাংশ, অ্যাম্বুল্যান্সের উপর ২৮ শতাংশ এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের উপর থেকে ১২ শতাংশ কর-ভার লাঘব করা হোক’।
বিদেশি অর্থ, টিকা, আনুষঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামের বিলিবণ্টন যত দ্রুত সম্ভব করারও অনুরোধ জানিয়েছেন খাড়গে। কেন্দ্রের ‘এমএনরেগা’ প্রকল্পে কাজের বদলে ন্যূনতম আয়ের কর্মসূচিতে মজুরির পরিমাণ ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে এর আগে মনমোহন সিংহ, রাহুল গাঁধী ও সনিয়া গাঁধীও সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর কর মকুবের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের পুনর্নিবাচিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।