রাজস্থান কংগ্রেসে নয়া ডামাডোল। — ফাইল ছবি।
রাজস্থান কংগ্রেসে সমস্যার অভাব নেই। সপ্তাহান্তে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যতম প্রবীণ নেতা অশোক গহলৌত তাঁর রাজনৈতিক সতীর্থ তথা অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সচিন পাইলটকে খোঁচা দিয়ে দাবি করেছিলেন, ২০২০ সালে যখন সচিন কয়েক জন বিধায়ককে নিয়ে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তখন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন। সোমবার, তারই জবাব দিলেন পাইলট। গহলৌতকে তাঁর পাল্টা খোঁচা, ‘‘মু্খ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার পর আমার মনে হয়, সনিয়া গান্ধী নন, তাঁর নেত্রীর নাম বসুন্ধরা রাজে!’’
রাজস্থানে গহলৌত-পাইলট দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ইদানীং ভোটমুখী রাজস্থানে আবার মাথাচাড়া দিয়েছে দুই নেতার চাপান-উতোর। সচিনের অভিযোগ, হাতেগরম প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও গহলৌত বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে চাননি। এই প্রেক্ষিতে ঢোলপুরের একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত দাবি করেন, বসুন্ধরা রাজে এবং অন্য দুই বিজেপি নেতা সেই সময় গহলৌতের সরকারকে পতনের হাত থেকে বাঁচান। সোমবার তা নিয়েই গহলৌতের দিকে পাল্টা তোপ দেগেছেন সচিন।
পাইলট বলেন, ‘‘উনি সরকার ফেলার ষড়যন্ত্রের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। তার পর আবার বলছেন, বিজেপি নেতারা তাঁর সরকারকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। তাঁর উচিত এই দ্বিচারিতা ছেড়ে বিতর্কের মীমাংসা করা।’’ একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি এখন বুঝতে পারছি যে, বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও তদন্ত হয়নি। আমি কিন্তু তদন্তের জন্য বার বার আবেদন জানিয়েছিলাম।’’
গহলৌতের বিরুদ্ধে সনিয়াকে অপমান করারও অভিযোগ করেছেন সচিন। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে ‘জন সংঘর্ষ যাত্রা’ শুরু করতে চলেছেন তিনি। অজমের থেকে জয়পুর পর্যন্ত এই যাত্রায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়াবেন রাজেশ-পুত্র। রাজস্থানে বিধানসভা ভোটের আগে যা কংগ্রেসের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করছে। যদিও পাইলটের দাবি, তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নামছেন।