কোন কোন জেলা রয়েছে তালিকায়? গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জাল কত দূর ছড়িয়েছিল, চার্জশিটে তার ইঙ্গিত দিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তারা প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছিল। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। অর্থাৎ, শান্তনুদের নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল এই ১৭টি জেলায়।
কোন কোন জেলা রয়েছে সেই তালিকায়? সোমবার ইডি যে চার্জশিট নগর দায়রা আদালতে পেশ করেছে তাতে সেই তালিকাটিও দেওয়া আছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃত এলাকায় বোনা হয়েছিল দুর্নীতির জাল। তালিকায় যেমন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুরের নাম রয়েছে, তেমনই নাম রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হুগলি, নদীয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার নামও।
এর মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার আবেদনকারী সবচেয়ে বেশি প্রার্থী বীরভূমের। ৩৪৬ জনের তালিকায় ১৪৮ জন চাকরিপ্রার্থীই বীরভূমের বাসিন্দা। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সংখ্যার নিরিখে তার পরে রয়েছে মালদহ, কোচবিহার, বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া। সবচেয়ে কম প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখান থেকে মাত্র একজন প্রার্থী চাকরির জন্য শান্তনুদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
চার্জশিটে ইডির দাবি, শান্তনু ওই তালিকা প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনে বলেন, ওই তালিকা তাঁর অফিসে এসেছিল বীরভূমের সুখেন রানা এবং মুর্শিদাবাদের সুজল আনসারির কাছ থেকে। প্রাইমারি শিক্ষক হিসাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এসেছিল ওই নাম। শান্তনু অবশ্য ইডিকে জানিয়েছেন, এই দুই এজেন্টের সঙ্গে তাঁর আলাপ তৃণমূলের আর এক বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের সূত্রে। সিটি সেন্টার ২-এর কাছে যে উজ্জ্বলা অ্যাপার্টমেন্টে কুন্তলের ফ্ল্যাট, সেখানেই এঁদের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল বলে ইডিকে জানিয়েছেন শান্তনু।