সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বিপাকে পরেন ভরতসিন।
আপাতত রাজনীতি ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা ভরতসিন সোলাঙ্কি। জানিয়ে দিলেন, কিছু দিনের জন্য ছুটি নিচ্ছেন। এখন সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকবেন। তবে এমন সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই, গোটাটাই পারিবারিক।
সামনেই গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সম্প্রতি ভরতসিনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো তৈরি করেছেন তাঁরই স্ত্রী রেশমা পটেল। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকছেন রেশমা। সামনেই এক অল্পবয়সি মহিলাকে দেখে তেড়ে যাচ্ছেন তিনি। সেই সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও রেশমাকে সামলাতে পারছেন না ভরতসিন। এর পরেই রেশমা ওই অল্পবয়সি মহিলার চুলের মুঠি ধরে পেটাচ্ছেন। পরে জানা যায়, রেশমার অভিযোগ, ওই মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে তাঁর রাজনীতিক স্বামী ভরতসিনের।
গুজরাতের রাজনীতিতে খুবই পরিচিত নাম ভারতসিন। বাবা মাধবসিন সিংহ সোলাঙ্কি ছিলেন চন্দ্রশেখর সরকারের বিদেশমন্ত্রী। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। আর ভরতসিন আনন্দ লোকসভা আসন থেকে ২০০৪ ও ২০০৯ সালে পর পর দু’বার সাংসদ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সময়ে কেন্দ্রের মন্ত্রীও থেকেছেন। কয়েক বছর গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভরতসিনের এমন ‘গোপনীয়তা’ প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় চাপে পড়েছে কংগ্রেসও। জানা গিয়েছে, দল থেকেই ভরতসিনকে আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। তবে ভরতসিন জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত তাঁর। ব্যক্তিগত কারণেই আপাতত কিছু দিন তিনি রাজনীতিতে যুক্ত থাকবেন না। একই সঙ্গে স্ত্রী রেশমার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা যে দীর্ঘ দিন একসঙ্গে থাকেন না, সেটা জানানোর পাশাপাশি তাঁর এবং কংগ্রেসের বদনাম করতে বিরোধী কোনও রাজনৈতিক শিবিরের হয়েও স্ত্রী এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন। রেশমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে বলেও দাবি করেছেন ভরতসিন।