1984 Anti Sikh Riot

সিবিআই চার্জশিটের জের, আগাম জামিনের আর্জি শিখবিরোধী হিংসায় অভিযুক্ত টাইটলারের

১৯৮৪ সালে শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরই দেশের নানা প্রান্তে শিখ-নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি মতে এই দাঙ্গায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ২১:৩২
Share:

জগদীশ টাইটলার। — ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী হত্যা পরবর্তী হিংসার একটি মামলায় অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন। প্রাক্তন সাংসদ টাইটলারের আইনজীবী মঙ্গলবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বিকাশ ধুলের এজলাসে জামিনের আবেদন জানান। পুল বঙ্গাশ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টাইটলারের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মতামত জানাতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন বিচারক ধুলে। বুধবার এই আবেদনের ফের শুনানি হবে।

Advertisement

পুল বঙ্গাশ হিংসা মামলায় গত মে মাসে টাইটলারের বিরুদ্ধে নতুন চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার পরেই জমা দেওয়া হয় ওই নয়া চার্জশিট। টাইটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির পুল বঙ্গাশ অঞ্চলের বাসিন্দাদের শিখ বিরোধী হিংসায় প্ররোচিত করেছিলেন তিনি। ওই এলাকায় উত্তেজিত জনতার হামলায় তিন জন শিখ ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছিল। আগে ওই মামলা থেকে ক্লিনচিট পেলেও নরেন্দ্র মোদী জমানায় নতুন করে টাইটলারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।

১৯৮৪ সালের অক্টোবর মাসে নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরই দেশের নানা প্রান্তে শিখ-নিধনের ঘটনা ঘটে। সরকারি মতে এই দাঙ্গায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু দিল্লিতেই প্রাণ হারান প্রায় দু’হাজার মানুষ। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন শিখ। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ মন্ত্রিসভায় টাইটলারকে রাখা হলেও বিতর্ক এবং সমালোচনার জেরে তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। বিরোধী দলগুলির আক্রমণে টাইটলারকে নিয়ে বহু বার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement