—ফাইল চিত্র।
এক দিকে, অবৈধ ভাবে ১০৬ বিঘা কৃষিজমি কেনা ও কেন্দ্র থেকে ১০ কোটি টাকা
সাহায্য নেওয়া নিয়ে কাঠগড়ায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার স্ত্রী। অন্য দিকে, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় উত্তরাখণ্ড আদালতের সমন এল হিমন্তের নামে। ওই দুই ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরাসিঙ্গাপুরের লি কুয়ান য়ু স্কুলের ডিনকে খোলা চিঠি পাঠিয়ে হিমন্তকে দেওয়াসম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন। প্রসঙ্গত, জনসেবা ও উন্নয়নেনেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হিমন্তকে সিঙ্গাপুরের ওই ‘এক্সচেঞ্জ ফেলোশিপ’ দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে। ভূপেন ওই সম্মান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে লি কুয়ানয়ু স্কুলের ডিনকে চিঠি দেন। ওই চিঠি এক্স-এ প্রকাশ করেন বরা। সেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হিমন্তের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগের লিঙ্কতুলে দিয়ে বরা লেখেন, “সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ান য়ু এক জন সৎ, পরিশ্রমী,অননুকরণীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। কিন্তু হিমন্তের আদর্শ ও নীতি সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি আসলে ভারতের রাজনীতির এক ভুল।” ডিন ড্যানি কুয়াকে লেখা চিঠিতে বরা বলেন, “হিমন্তের বিরুদ্ধে প্রচুর আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। জেলে যাওয়ার ভয়ে তিনি শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে থাকেন। তাঁর রাজনৈতিক মন্তব্যও এত অশালীন যে উত্তরাখণ্ডের আদালত তাঁকে সমন পাঠিয়েছে। তাঁর সরকার একের পর এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও আদতে নাগরিকদের ন্যূনতম পরিষেবা দিতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর আমলে রাজ্য ক্রমশ ঋণের চাপে তলিয়ে যাচ্ছে। তাই এমন দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য ব্যক্তির সম্মান অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক।”
উল্লেখ্য হিমন্তের বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ড কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০২২ সালে ভোট প্রচারের সময়ে রাহুল গান্ধীর বংশ পরিচয় ও তাঁর মা সনিয়া গান্ধীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কংগ্রেস মুখপাত্র গণেশ উপাধ্যায়ের দাবি, জনসভায় পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইকের সাফল্য নিয়ে প্রমাণ চাওয়ায় হিমন্ত রাহুলের উদ্দেশে বলেন, আগে তাঁর মায়ের কাছে তাঁর জন্মের বিষয়ে প্রমাণ দাবি করুন রাহুল।