অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, রাজ্যসভা সাংসদ, কংগ্রেস। — ফাইল ছবি।
হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কংগ্রেসের নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এর আগের মেয়াদে তিনি বাংলা থেকে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার তৃণমূল তাঁকে সমর্থন দেয়নি। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাই মনু সিঙ্ঘভিকে হিমাচল থেকে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে কংগ্রেস।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। ছেলে রাহুল গান্ধী, কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার সনিয়া জয়পুরে মনোনয়ন জমা দেন। প্রসঙ্গত, রাজস্থান থেকেই রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ছ’বারের রাজ্যসভার সদস্য মনমোহনের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। সনিয়া রাজ্যসভায় গেলে তিনিই হবেন গান্ধী পরিবারের দ্বিতীয় ব্যক্তি। এর আগে গান্ধী পরিবার থেকে ইন্দিরা গান্ধী রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ইন্দিরা রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। এ বার রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন তাঁর পুত্রবধূ সনিয়া।
এ দিকে গত মেয়াদে মনু সিঙ্ঘভিকে রাজ্যসভায় সমর্থন করেছিল তৃণমূল। কিন্তু এ বার তেমন কিছু হয়নি। তৃণমূল রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে মমতাবালা ঠাকুর, সুস্মিতা দেব, সাগরিকা ঘোষ এবং নাদিমুল হককে। এই পরিস্থিতিতে কর্নাটক থেকে মনু সিঙ্ঘভিকে রাজ্যসভায় পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু বিবৃতি জারি করে হাই কমান্ড জানিয়ে দিল, হিমাচল প্রদেশ থেকেই রাজ্যসভায় যাবেন মনু সিঙ্ঘভি। এ ছাড়া বিহার থেকে অখিলেশ প্রসাদ সিংহ এবং মহারাষ্ট্র থেকে চন্দ্রকান্ত হান্দোরেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছে।
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের হয়ে শীর্ষ আদালত বা কলকাতা হাই কোর্টে নিয়মিত সওয়াল করতে দেখা যায় মনু সিঙ্ঘভিকে। তা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের গোসাও রয়েছে। যে ক্ষোভের কথা প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী মনু সিঙ্ঘভিকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু মনু সিঙ্ঘভির পাল্টা যুক্তি ছিল, আইন ব্যবসা তাঁর পেশা। তাই তিনি কার হয়ে সওয়াল করবেন, তা পার্টি নিরপেক্ষ ভাবে তিনিই স্থির করেন। এখানে পার্টির কিছুই বলার নেই।
অন্য দিকে, ওড়িশা থেকে বিজেপি রেলমন্ত্রী অশ্বিনীকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করেছে। তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজু জনতা দল। বলা হয়েছে, ‘বৃহত্তর স্বার্থে’ বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।