প্রহ্লাদ জোশী এবং জগদীশ শেট্টার। ফাইল চিত্র।
আগামী বছর লোকসভা ভোটে কর্নাটকে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে কংগ্রেস। কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের নেতা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটে শেট্টার হেরে গেলেও বিজেপির লিঙ্গায়েত ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরেছে। লিঙ্গায়েত ভোটের বড় অংশ কংগ্রেসের ঝুলিতে। শেট্টারকে আগামী লোকসভা ভোটে কর্নাটক থেকে মোদী সরকারের একমাত্র ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নিচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আগামী শনিবার কর্নাটকে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হতে পারে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ২৫ জনের। তা নিয়ে আজ দিল্লিতে গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুমে’ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত রণদীপ সুরজেওয়ালা বৈঠক করেছেন। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘শেট্টার হেরে গেলেও তাঁকে বিধান পরিষদ থেকে জিতিয়ে এনে মন্ত্রী করার প্রস্তাব রয়েছে। শেট্টারকে লোকসভা ভোটে প্রহ্লাদ জোশীর বিরুদ্ধে হুবলি-ধারওয়াড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। শেট্টার হেরে গেলেও তাঁকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনার রাস্তা খোলা থাকবে।’’
বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, লোকসভা ভোটে কর্নাটকের অধিকাংশ লোকসভা আসন বিজেপিই জিতবে। কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার রাজ্যের ২৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি লোকসভা আসন জেতার লক্ষ্য নিয়েছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৫টি আসনে জিতেছিল। কিন্তু শুধুমাত্র প্রহ্লাদকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। তিনি এখন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি অমিত শাহ, জে পি নড্ডা ও সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষেরও আস্থাভাজন বলে পরিচিত।
জোশীর বিরুদ্ধে শেট্টার আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ব্রাহ্মণ বলে জোশীকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। উচ্চবর্ণের নেতাকে পূর্ণমন্ত্রী করে রাজ্যের ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় থেকে তিন জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। হুবলি-ধারওয়াড় এলাকায় লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রভাবই বেশি। জোশী ও শেট্টার দু’জনেই সঙ্ঘ পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। ফলে শেট্টারকে জোশীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করলে মোদী সরকারের মন্ত্রীর জেতা কঠিন হতে পারে বলে কংগ্রেসের ধারণা।