ছবি টুইটারের ভিডিও থেকে নেওয়া।
ধর্ষণে অভিযুক্তকে টিকিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার জেরে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দলের মহিলা কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায়। হাথরস কাণ্ডে যখন বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে কংগ্রেস তখন এই বিষয়টি নিয়ে রাহুল গাঁধীর দলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। পরে এই ঘটনার জেরে দীনদয়াল যাদব ও অজয়কুমার সাঁইথওয়ার নামে দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক জন্মেজয় সিংহের মৃত্যুর ফলে ফাঁকা হয়েছে দেওরিয়া বিধানসভা আসন। সেখানে উপ-নির্বাচনে মুকুন্দ ভাস্কর নামে এক কংগ্রেস নেতাকে প্রার্থী করেছে দল। গত কাল দেওরিয়ায় উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত দলীয় সম্মেলনে আরও তিন জন মহিলা কর্মীর সঙ্গে হাজির হন তারা দেবী যাদব। প্রশ্ন তোলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে কেন? পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তারা জানিয়েছেন, এর পরেই তাঁকে মারধর করেন কয়েক জন কংগ্রেস নেতা। ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে কয়েক জন তারা দেবীকে মারধর করছেন। পরে কয়েক জন তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। এফআইআরে জেলা সভাপতি ধর্মেন্দ্র সিংহ, সহ-সভাপতি অজয় সিংহ ও আরও দু’জনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন তারা দেবী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এক দিকে দলের নেতারা হাথরস কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে লড়াই করছেন। অন্য দিকে আমাদের দলই ধর্ষণে অভিযুক্তকে টিকিট দিচ্ছে। এটা ভুল সিদ্ধান্ত।’’ দলের অন্য শিবিরের অভিযোগ, জাতীয় সম্পাদক সচিন নায়েককে ফুলের তোড়া ছুড়ে মারেন তারা দেবী। তার ফলেই গোলমাল শুরু হয়। তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুরের কটাক্ষ, ‘‘মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করলেন কংগ্রেস নেতারা। এখন কেউ ভয়ঙ্কর ঘটনা বললেন না। পুরস্কার ফেরালেন না। নারীবাদীরাই বা কোথায়?’’ কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’’ পরে মহিলা কংগ্রেস টুইট করে জানায়, ‘‘গত কাল দেওরিয়ায় নির্বাচন নিয়ে বৈঠক হয়। সেই সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দীনদয়াল যাদব ও অজয়কুমার সাঁইথওয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’