অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের পর এ দিল্লিতেও ধাক্কা কংগ্রেসের। ‘ইন্ডিয়া’র জোটসঙ্গী আম আদমি পার্টি (আপ) জানিয়ে দিল, কংগ্রেসকে তারা একটি আসন ছাড়তে রাজি। যদিও কংগ্রেস একটি আসনও পাওয়ার যোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল।
লোকসভা নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে শুরু থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে একটা টানাপড়েন চলছে ‘ইন্ডিয়া’র জোটসঙ্গীগুলির। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা একাই ৪২টি আসনে লড়বেন। গত জানুয়ারিতেই ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে যায় নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড)। উত্তরপ্রদেশেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আর এক জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে এখনও রফা চূড়ান্ত হয়নি কংগ্রেসের। আসন ভাগাভাগি নিয়ে সেখানেও একটা দোলাচল তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)। পঞ্জাবেও একই পরিস্থিতি। আপ জানিয়ে দিয়েছে ওই রাজ্যে তারা ১৪টি (কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়) আসনেই লড়বে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল কংগ্রেসের উপর।
পঞ্জাবে একা লড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর এ বার আপ জানিয়ে দিল, দিল্লিতে তারা সাতটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে একটি আসন ছাড়তে রাজি। আপ সাংসদ সন্দীপ পাঠক এ প্রসঙ্গে বলেন, “যোগ্যতার বিচারে দিল্লিতে একটি আসনও পাওয়া উচিত নয় কংগ্রেসের। কিন্তু জোটের কথা মাথায় রেখেই তাদের একটি আসন ছাড়া হচ্ছে। কংগ্রেসকে একটি আসনে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয় আসনে লড়বে আপ।” তিনি আরও জানান, গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। শুধু তাই-ই নয়, পুরসভা নির্বাচনে ২৫০টি আসনের মধ্যে মাত্র ন’টি পেয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আপের সঙ্গে আলোচনা চলছিলই। প্রাথমিক আলোচনায় ঠিক হয়েছিল, কংগ্রেস চারটি আসনে লড়বে। আপ লড়বে তিনটি আসনে। কিন্তু মঙ্গলবার আপ সাংসদ সন্দীপ পাঠক যে মন্তব্য করেছেন, তা থেকে অনেকেই মনে করছেন, পঞ্জাবের পর দিল্লিতেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে জট সৃষ্টি হল। যদিও আপের দেওয়া প্রস্তাবে কংগ্রেস রাজি হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়াও মেলেনি।