বিজয় মাল্য
২০১৫-র ১৬ অক্টোবর বিজয় মাল্যর নামে গ্রেফতারির নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। তারপর সেই সিদ্ধান্ত বদলে ২৪ নভেম্বরে ‘লুকআউট নোটিসে’ জানানো হল—বিজয় মাল্যকে দেখা গেলে জানাতে হবে মাত্র।
সিবিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত বদলের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আজ তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস। অন্ধ্রে প্রচারে গিয়ে রাহুল গাঁধীর দাবি, ‘‘একটাই মাত্র সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্যকে কোনও কিছুর বিনিময়ে দেশ ছেড়ে পালাতে দেওয়া হয়েছিল। মাল্য ও অর্থমন্ত্রীর মধ্যে রফা হয়েছিল।’’ মাল্য দাবি করেছেন, ২০১৬-র মার্চে দেশ ছাড়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রাহুলের যুক্তি, ‘‘যদি কনস্টেবল চোরের থেকে তার চুরির কথা জেনেও, চোরকে জেলে না ঢোকায়, তা হলে কনস্টেবলকে জেলে ঢোকানো উচিত।’’
সিবিআইয়ের অবস্থান বদলের পিছনে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা অর্থমন্ত্রীর হাত রয়েছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর দফতরই কি মাল্যকে বাঁচাতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল?’’ কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সিবিআইয়ের তৎকালীন অধিকর্তা, যুগ্ম-অধিকর্তা এ কে শর্মা এবং স্টেট ব্যাঙ্কের ভূমিকারও তদন্ত হোক।
লুকআউট নোটিস বদলের পিছনে সিবিআইয়ের প্রাথমিক ব্যাখ্যা ছিল, প্রথমবার ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে ‘ভুল করে’ গ্রেফতারির নোটিস জারি হয়। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, ওই নোটিসের ভিত্তিতে যখন অভিবাসন দফতর ২০১৫-র ২৩ নভেম্বর সিবিআইকে জানায় যে মাল্য বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন, সে সময়েই সিবিআই লিখিত ভাবে মুম্বই পুলিশ তথা অভিবাসন দফতরকে জানায়, মাল্যকে গ্রেফতারির দরকার নেই। শুধু সতর্ক করলেই চলবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আজ দাবি করেছে, প্রথম লুক আউট নোটিসটি বদলাতেই হত। কারণ, কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়নি। ফলে ওই নোটিস আইনের চোখে গ্রাহ্য হত না।
২০১৬-র ২ মার্চ মাল্য দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান। সুরজেওয়ালার দাবি, ২ মার্চের আগে আইনজীবীদের পরামর্শ সত্ত্বেও কেন স্টেট ব্যাঙ্ক সিবিআইকে অভিযোগ জানায়নি, তারও তদন্ত প্রয়োজন।