নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মোদী-শাহের ফাঁদে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। পিটিআই
রাহুল গাঁধী ছিলেন বিদেশে। তাই আর্থিক ঝিমুনি নিয়ে জনসভার ডাক দিয়েও তা পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। অবশেষে সেটি হচ্ছে শনিবার। গত দু’মাস ধরেই কংগ্রেস চাইছে, কী ভাবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের প্রচারের মোড় ঘুরিয়ে বেহাল অর্থনীতি, কৃষি সঙ্কট, বেকারত্ব, মহিলাদের নিরাপত্তার মতো বিষয়কে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনা যায়। কিন্তু সভার ঠিক আগেও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মোদী-শাহের ফাঁদে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে আজও বলতে হল নাগরিকত্ব বিল নিয়ে। টুইটে বললেন, ‘‘বিজেপি যে সময়ে গাঁধীর সার্ধশতবর্ষের ঢাক পেটাচ্ছে, সেই সময়ে সংবিধানের আত্মা ছিঁড়ে এই বিল আনা হল। বিজেপির বিভাজনকারী মানসিকতার বিরুদ্ধে কংগ্রেস পুরো শক্তিতে লড়বে।’’ রাহুল বিদেশ থেকে ফিরে এই বিষয়েই সরব। সনিয়া গাঁধীও গত কাল একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেছেন, তাঁর রাজ্যে নাগরিকত্ব বিল রূপায়িত হবে না।
অথচ দু’মাস আগেই আর্থিক ঝিমুনি নিয়ে মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। ঠিক হয়েছিল, দেশ জুড়ে আন্দোলন হবে লাগাতার। কিন্তু তা পিছোনো হয়। এর পরে রামলীলা ময়দানে জনসভার একটি দিন ঠিক হয়। অযোধ্যা রায়ের জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। আর একটি দিনও ঠিক হয়। পিছোনো হয় সেটিও। অন্য বিরোধী দলকেও সঙ্গে নিয়ে শক্তি দেখানোর ইচ্ছে ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু কারা সেখানে আসবে, তা অনিশ্চিত।