নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে মঙ্গলবার ফের তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার আগে সোমবার ফের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির’ অভিযোগ তুলে সরব হল কংগ্রেস।
সোমবার এআইসিসির সদর দফতরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে গুজরাতের কংগ্রেস নেতা শক্তি সিংহ গোহিল বলেন, ‘‘ইউপিএ সরকারে আমলে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা কেন্দ্রের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহকে তলব করেনি।’’
তথ্য বলছে, ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় মোদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিট। ২০১০ সালের মার্চ মাসেরও ওই ঘটনায় ন’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে গোহিল বলেন, ‘‘হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সিট গঠন করা হয়েছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণেই হয়েছিল তদন্ত। এ বিষয়ে ইউপিএ সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না।’’
প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানাতেই ২০১২ সালে গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় মোদীকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে ২০১২ সালে ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ জমা দিয়েছিল সিট। অন্য দিকে, সোহরাবুদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে সাজানো পুলিশি সংঘর্ষে খুনের মামলায় ২০১০ সালে গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদে থাকা অমিত শাহকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে সেই মামলা থেকে আদালত নিষ্কৃতি দিয়েছিল শাহকে।