সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ চার কংগ্রেস সাংসদের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে কংগ্রেসের চার সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, সাসপেনশনের মেয়াদ চলতি বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য।
সাসপেন্ড হওয়া চার কংগ্রেস সাংসদ হলেন, তামিলনাড়ুর মনিকম টেগোর (বিরুধনগর) ও জ্যোতিমণি সেন্নিমালাই এবং কেরলের টিএন প্রতাপন (ত্রিশূর) ও রম্য হরিদাস (কোঝিকোড়)। তাঁদের বিরুদ্ধে স্পিকারের নির্দেশ অমান্য করে অধিবেশন চলাকালীন পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদের চলতি বাদল অধিবেশন চলবে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত চার কংগ্রেস সাংসদ অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না বলে সোমবার জানিয়েছেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, শুধু অধিবেশন কক্ষ নয়, গোটা সংসদ চত্বরেই আর ধর্না, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না বলে বাদল অধিবেশন শুরু আগে সংসদ সচিবালয়ের তরফে সাংসদদের উদ্দেশে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল।
স্পিকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সোমবার লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেন্ড করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ ভাবে আমাদের ভয় পাইয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের ওই চার সাংসদের দোষ কী ছিল? তাঁরা জনস্বার্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উত্থাপন করার চেষ্টা করছিলেন!’’
গৌরবের অভিযোগ, গত ছ’দিন ধরে কংগ্রেস সাংসদেরা লোকসভায় মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানো, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিতর্ক চেয়ে মুলতবি প্রস্তাবের নোটিস দিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার আলোচনায় রাজি হয়নি।