ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বুধবার সকাল ১১টায় তাঁকে তলব করা হয় সনিয়া গাঁধীকে।
ঘড়িতে সকাল ১১টা। কালো কাচে ঢাকা গাড়ি ঢুকল রাজধানীর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দফতরে। গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে গেলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সঙ্গে মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। এই নিয়ে গত দু’দিনে তিন দফায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন সনিয়া। মঙ্গলবারের মতো বুধবারও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মঙ্গলবার টানা ছ’ঘণ্টা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে কংগ্রেসের ৭৫ বছর বয়সি সভানেত্রীকে। তার পর আবার বুধবার সকাল ১১টায় তাঁকে তলব করা হয়। সেই অনুযায়ী মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেন সনিয়া।
এ দিকে বাইরে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ অব্যাহত। কংগ্রেস সাংসদরা সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বার করেন। বিজয় চকের কাছে সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। তার পর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। কয়েক জন কংগ্রেস সাংসদ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের আওয়াজ সংসদের অভ্যন্তরে তুলতে চেয়েছিলাম। তাতে ব্যর্থ হয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের জোর করে আটকে দেওয়া হল। পুলিশ আমাদের আটক করেছে।’’
মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা দলীয় সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে ভজন গেয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের।