মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
তাঁর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের আয় ৪৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা। কেরলের ওয়েনাড় লোকসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে বুধবার পেশ করা মনোনয়নের হলফনামায় এ কথা জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
প্রিয়ঙ্কার দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর মোট স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির আমুমানিক মূল্য ১২ কোটি টাকা। তাঁর মধ্যে অস্থাবর সম্পত্তি ৪ কোটি ২৪ লক্ষের। তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ, পিপিএফ, স্বামী রবার্ট বঢরার উপহার দেওয়া গাড়ি এবং আনুমানিক ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সোনার অলঙ্কার রয়েছে এই তালিকায়।
ওয়েনাড়ের কংগ্রেস প্রার্থীর হলফনামা বলছে, তাঁর ৭ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে দিল্লির মেহরৌলি এলাকার পারিবারিক কৃষিজমি এবং ফার্ম হাউসের অংশীদারি। এ ছাড়া হিমাচল প্রদেশের শিমলায় একটি বাড়ি রয়েছে প্রিয়ঙ্কার। যার আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। নির্বাচনী হলফনামায় প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন তাঁর স্বামী রবার্টের ৩৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার অস্থাবর এবং ২৭ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
বুধবার মা সনিয়া গান্ধী, দাদা রাহুল, স্বামী রবার্ট এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে ওয়েনাড়ে গিয়ে একটি ‘রোড শো’ করার পরে মনোনয়ন জমা দেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৫ রাজ্যের মোট দু’টি লোকসভা ও ৪৮টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের গণনাও হবে ওই দিন। এ বার ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসের বিরুদ্ধে।
প্রিয়ঙ্কাই প্রথম গান্ধী-নেহরু পরিবারের কোনও রাজনীতিক, যিনি শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারত থেকে জীবনে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। রাহুল এবং তাঁর ঠাকুমা দক্ষিণ ভারত থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে জিতলেও জীবনের প্রথম নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়েছিলেন। সনিয়া ১৯৯৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর পাশাপাশি কর্নাটকের বল্লারীকেও বেছে নিয়েছিলেন।