প্রতীকী ছবি।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে টানাপড়েন এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, তা সরকারকে জানাতে হবে বলে আজ ফের দাবি করল কংগ্রেস। আজ এই বিষয়ে পাঁচটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। অন্য দিকে চিন জানিয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীলই আছে।
আজ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘লাদাখ-সিকিমে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং সো হ্রদের কাছে অনু্প্রবেশ করে চিনা সেনা দারবুক-শিয়োক-ডিবিও রোড দিয়ে পরিবহণে বাধা দিতে চাইছে। তাতে উত্তর সাব-সেক্টর ও কারাকোরাম গিরিপথে মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের সরবরাহের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে জানাতে হবে লাদাখে আসল পরিস্থিতি কী।’’
সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ১। চিনা সেনা কি গালওয়ান উপত্যকা ও প্যাংগং সো হ্রদের কাছে ভারতীয় এলাকা দখল করে আছে? ২। প্যাংগং হ্রদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ‘ফিঙ্গার টিপস’ এলাকা কি চিনাদের দখলে? ৩। দারবুক-শিয়োক-ডিবিও রোড দিয়ে পরিবহণ কি বিপদের মুখে? ৪। ভারতের সার্বভৌমত্বের উপরে এই আঘাত রুখতে মোদী সরকার কি পদক্ষেপ করেছে? ৫। মোদী সরকার আসল পরিস্থিতি এখনও দেশকে জানায়নি কেন?
আরও পড়ুন: সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল, বিতর্কের মধ্যেই বার্তা চিনা বিদেশমন্ত্রকের
তবে আজ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা মেটানো যাবে বলে বেজিংয়ের বিশ্বাস। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবের গলাতেও। কিন্তু ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ঘাঁটিতে কামান, সাঁজোয়া গাড়ি ও ভারি সামরিক যন্ত্রপাতির সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। একই ভাবে কামান ও ভারী সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে ভারত। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনাও।
আরও পড়ুন: ‘লুকিয়ে পড়বেন না মিঃ প্রেসিডেন্ট’! সুযোগ পেয়েই ট্রাম্পকে খোঁচা চিনের