ছবি: এএফপি।
বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে লাদাখের গলওয়ানে বিহার রেজিমেন্টের সেনার জয়গান গেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা ‘ভুয়ো জাতীয়তাবাদ’-এর অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।
আগামিকাল, শনিবার, বিহারে তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোট। তার আগের দিন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার অভিযোগ, সেনা অফিসারদের পেনশন ছাঁটাই করে তাঁদের মনোবলে ধাক্কা দিচ্ছে মোদী সরকার। পাকিস্তানের মন্ত্রী সে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পুলওয়ামায় হামলার ‘কৃতিত্ব’ দাবি করার পরে এ দেশের বিরোধীদের বিঁধেছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ওই জঙ্গি হানার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সেনাদের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস আজ সেই কথাই ফিরিয়ে দিল মোদীকে।
গত ২৯ অক্টোবর চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়তের অধীনস্থ ডিপার্টমেন্ট অব মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স (ডিএমএ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, খরচ কমাতে সেনা অফিসারদের পেনশন ব্যবস্থা বদলানো হোক। এখন ২০ বছরের চাকরি করার পরে অবসর নিলে অফিসারেরা পুরো পেনশন পান। যা তাঁদের শেষ বেতনের অর্ধেক। রাওয়তের দফতরের প্রস্তাব, ৩৫ বছর চাকরি করলে তবেই পুরো পেনশন দেওয়া হোক। ২০ বছর চাকরি করলে অর্ধেক। রণদীপ বলেন, “সেনার বীরত্বের কথা বলে ভোট বিভাজনে সিদ্ধহস্ত মোদী সরকার তাঁদের পেনশন চুরি করতে চাইছে। শতকরা ৯০ ভাগ সেনা অফিসার ৩৫ বছর চাকরি করার আগেই অবসর নেন। তাঁরা কেউই পুরো পেনশন পাবেন না।’’ তাঁর মতে, এই ব্যবস্থা চালু হলে শিক্ষিত তরুণেরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। ফলে বাহিনীকে তরতাজা রাখতে যে তরুণদের দরকার তার ঘাটতি দেখা দেবে। এমনিতেই তিন সামরিক বাহিনী মিলিয়ে এখন ৯,৪২৭টি অফিসারের পদ খালি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অবশ্য বক্তব্য, পেনশন রদবদলের প্রস্তাব এসেছে ঠিকই, কিন্তু এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সেনাবাহিনীতে ‘এক পদ এক পেনশন’ নীতির বাস্তবায়ন নিয়েও সরকারকে এক হাত নিয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, বিস্তর ঢাক পেটানো হলেও এখনও একই পদের জন্য সাত-আট রকম পেনশন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের পাল্টা দাবি, “এক পদ, এক পেনশন রূপায়ণের পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২০ লক্ষ ৬০ হাজার পেনশনভোগীকে ৪২,৭৪০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।”