পবন খেরা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় সব বুথফেরত সমীক্ষাতে ইঙ্গিত ছিল হরিয়ানার পালাবদলের দিকে। এমনকি গণনার শুরুর দিকেও বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, হরিয়ানাতে সরকার গড়তে চলেছে হাত শিবির। কিন্তু বেলা বাড়তেই হিসাব পাল্টে যায়। দুপুর গড়াতেই বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে সেই জয় ইভিএম কারচুপি করে হয়েছে, এমনই দাবি তুলল কংগ্রেস। ১৩টি আসনের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিলেন হরিয়ানা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রথমে কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল সাতটি আসনে গরমিল হয়েছে। কিন্তু নতুন করে আরও ছয় আসনে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করল কংগ্রেস। পানিপথের কংগ্রেস নেতা বীরেন্দ্র কুমারের অভিযোগ, গণনার সময় অনেক ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারি লেভেল ৯৯ শতাংশ দেখাচ্ছিল। বীরেন্দ্রর দাবি, তাঁর বেশ কয়েক জন নির্বাচনী এজেন্টকে ফর্ম ১৭সি-র অনুলিপি আনতে দেওয়া হয়নি। এমনকি, প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি এজেন্টদের, দাবি বীরেন্দ্রর।
যে ১৩ আসন নিয়ে অভিযোগ কংগ্রেসের, তার মধ্যে ১২টিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। একটিতে পেয়েছে আইএনএলডি। উল্লেখ্য, ভোটগণনার দিনই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। কমিশন ভোটগণনার প্রবণতা প্রকাশে দেরি করছে বলে দাবি করেছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সমাজমাধ্যমে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিজেপি কি পুরনো এবং বিভ্রান্তিকর প্রবণতা প্রকাশ করার জন্য চাপ দিচ্ছে প্রশাসনকে?” যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি।