আগেই পুরপ্রধান ভোট সেরে ফেলল কংগ্রেস

করিমগঞ্জ কংগ্রেস অফিসে ভোট করিয়ে পুরসভায় ভোট এড়ালো কংগ্রেস। কংগ্রেস অফিসে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত কংগ্রেস পুরপিতাদের মধ্যে থেকে আগেভাগেই বেছে নেওয়া হল পুরপ্রধান। ফলে পুরসভায় গিয়ে প্রধান নির্বাচনের সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করিমগঞ্জের পুরপ্রধানের পদে শপথ নিলেন শিখা সূত্রধর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৬
Share:

দায়িত্ব নেওয়ার পর করিমগঞ্জ পুরপ্রধানের চেয়ারে শিখা সূত্রধর। শনিবার উত্তম মুহরীর তোলা ছবি।

করিমগঞ্জ কংগ্রেস অফিসে ভোট করিয়ে পুরসভায় ভোট এড়ালো কংগ্রেস। কংগ্রেস অফিসে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত কংগ্রেস পুরপিতাদের মধ্যে থেকে আগেভাগেই বেছে নেওয়া হল পুরপ্রধান। ফলে পুরসভায় গিয়ে প্রধান নির্বাচনের সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করিমগঞ্জের পুরপ্রধানের পদে শপথ নিলেন শিখা সূত্রধর।

Advertisement

করিমগঞ্জ পুরসভার মোট আসন সংখ্যা ২৭। পুর ভোটের ফল অনুসারে কংগ্রেস ১৫টি আসন, বিজেপি ১০টি এবং বাকি দু’টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। তবে বিজয়ী নির্দল সদস্যরা ফল ঘোষণার পরের দিনই কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে পুর প্রধানের পদ নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে অন্য দাবিদারও ছিলেন। দাবি এতটাই জোরালো ছিল যে তা নিয়ে প্রকাশ্যে কংগ্রেসেরই দুই সদস্যের মধ্যে লড়াই অবধারিত ছিল। পরিস্থিতি আগাম আঁচ করেই স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব লেই নির্বাচনটাই সেরে নিলেন কংগ্রেস অফিসের মধ্যে। কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যাতে প্রকাশ না পায় তার জন্য করিমগঞ্জের ইন্দিরা ভবনে, বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ নির্বাচিত ১৭ পুর সদস্যকে নিয়ে বৈঠক করেন। ইন্দিরা ভবনের আলোচনা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করতে হয়।

তেরো নম্বর ওয়ার্ডের পুর সদস্যা রীতা দাস এবং চব্বিশ নম্বর ওয়ার্ডের শিখা সূত্রধরের মধ্যে লড়াই হয়। ভোটের ফলাফলে রীতা দাস পান ৮টি ভোট এবং শিখা সূত্রধর পান ৯টি ভোট। করিমগঞ্জের পৌর ভবনে আজ শিখা সূত্রধর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধান পদে নির্বাচিত হন। শপথ নিয়ে পুরপ্রধানের দায়িত্বও তিনি আজই বুঝে নেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement