ফাইল চিত্র।
বালিতে যখন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক করছে ভারত এবং চিন, তখনই দলাই লামার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফের দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হল। বুধবার তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার জন্মদিনে, তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং।
বুধবার চিনের স্পর্শকাতরতাকে অগ্রাহ্য করে মোদী তাঁর টুইটে ফোন-শুভেচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিনের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “চতুর্দশ দলাই লামার চিন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূমিকার কথা ভারতের স্বীকার করা উচিত।” সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “তিব্বতের তাস খেলে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ভারত। ভারতের উচিত চিনের প্রতি দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে বিচার-বিবেচনা করে কাজ করা।”
এই ঝাঁঝালো বক্তব্যের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “ধর্মগুরু দলাই লামা ভারতের সম্মানিত অতিথি। ভারত সরকার ধারাবাহিক ভাবে তাঁকে সে ভাবেই দেখে এসেছে। তিনি একজন সম্মানিত ধর্মীয় নেতা এবং ভারতে তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন। ভারতে এবং বিদেশে ভক্তরা তাঁর জন্মদিন পালন করেন। ভারতে তাঁর ধর্মীয় চর্চার সমস্ত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দলাই লামার ৮৭তমজন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকে এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।”
দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁকেও ঝাও লিঝিয়াং মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তিব্বতের বিষয়টি একান্তই চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কোনও রকম বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ করে না বেজিং।”
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, নির্বাসিত তিব্বতি সরকারকে নয়াদিল্লির স্বীকৃতিকে বরাবর ‘ভয়ঙ্কর চিন-বিরোধী পদক্ষেপ’ হিসেবেই দেখে এসেছে বেজিং। নির্বাসিত তিব্বতি ধর্মগুরু ও নেতাদের ধর্মশালায় আলোচনাসভা আয়োজনের ছা়ড়পত্রওদিয়ে রেখেছে ভারত। চিনের অভিযোগ, ওই সব সভায় তিব্বতে বিদ্রোহ উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্রকরা হয়।