কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। ফাইল চিত্র
রাজ্যসভা থেকে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের অবসরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেঁদে ফেলেছিলেন। সেই গুলাম নবিকে ফের রাজ্যসভায় ফেরানো নিয়ে এ বার কংগ্রেস ও ডিএমকে-র মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ু থেকে রাজ্যসভার তিনটি আসন এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে একটি আসন ডিএমকে কংগ্রেসের জন্য ছাড়তে রাজি। কংগ্রেস ওই আসন থেকে রাহুল গাঁধীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত, কংগ্রেসের টেকনোলজি ও ডেটা সেলের চেয়ারম্যান প্রবীণ চক্রবর্তীকে জিতিয়ে আনতে আগ্রহী বলে সূত্রের খবর। কিন্তু ডিএমকে গুলাম নবি আজাদকে ওই আসনে প্রার্থী করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
তামিলনাড়ুর ডিএমকে কেন জম্মু-কাশ্মীরের নেতা গুলাম নবিকে নিয়ে আগ্রহী, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। এর মধ্যে অনেকে গুলাম নবি তথা কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর হাত দেখছেন। গুলাম নবি নিজেই ডিএমকে-র দ্বারস্থ হয়েছেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। আবার বাস্তবের রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকা প্রবীণ চক্রবর্তীকে কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যসভায় আনতে চায় শুনেও দলের অনেকে ক্ষুব্ধ। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরে প্রবীণের দিকে অনেকেই রাহুলকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন। দলের খারাপ ফলের জন্য দায়ী করে তাঁকে অনেকে ‘বিজেপির চর’ বলেও আখ্যা দেন।
ডিএমকে অবশ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, রাজ্যের তিনটি আসনে যাতে আলাদা ভাবে উপনির্বাচন হয়। ডিএমকে সূত্রের ব্যাখ্যা, সে ক্ষেত্রে তিনটি আসনই ডিএমকে তথা শাসক জোট জিতবে।