মোবাইলের খোঁজে আচমকা সকলের ব্যাগে তল্লাশি। প্রতীকী ছবি।
ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে গিয়েছিলেন শিক্ষকেরা। মোবাইলের খোঁজে আচমকা সকলের ব্যাগে তল্লাশি চালানোর পরিকল্পনা করেন তাঁরা। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গিয়েই অস্বস্তিতে পড়তে হল শিক্ষকদেরই। কারণ শুধু মোবাইল নয়, আরও অনেক কিছু মিলল স্কুলপড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে।
বেঙ্গালুরু শহরের একাধিক স্কুলে সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। অনেকের ব্যাগ থেকেই মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে তা ছাড়াও এমন কিছু জিনিস পড়ুয়াদের স্কুলের ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে, যা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। স্কুলের পড়ুয়াদের ব্যাগ থেকে মিলেছে কন্ডোম, জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি, সিগারেট, লাইটার এবং হোয়াইটনার (সাদা কালির পেন)।
সূত্রের খবর, স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে বলে গত কয়েক দিন ধরেই অভিযোগ জমা পড়ছিল। তাই কর্নাটকের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ সত্যিই মোবাইল নিয়ে স্কুলে যাওয়া হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা করেন। স্কুলে স্কুলে নির্দিষ্ট কর্মী পাঠানো হয়। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে দেখেন। ব্যাগ তল্লাশির কথা আগে থেকে কাউকে জানানো হয়নি। ফলে ছাত্ররাও আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে আসার সুযোগ পায়নি।
মূলত অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ব্যাগ থেকেই এই ধরনের আপত্তিকর জিনিস পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। স্কুলগুলির তরফে এর পর পদক্ষেপ করা হয়। কোনও কোনও স্কুল ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। তবে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়নি। বরং তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অভিভাবকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিপথগামী ছাত্রদের উন্নতির জন্য কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শও দিয়েছেন কেউ কেউ।
ছেলেমেয়েদের কাণ্ড দেখে বিস্মিত অভিভাবকরাও। কী ভাবে এই বয়সে তাঁদের ছেলেমেয়েরা ব্যাগে কন্ডোম বা জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি নিয়ে ঘুরছে, তা তাঁদেরও ধারণার বাইরে। এক স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেছেন, ‘‘আমাদের স্কুলেও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমরা বাইরে থেকে আরও ভাল কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছি অভিভাবকদের। এর জন্য ১০ দিনের ছুটিও দেওয়া হয়েছে।’’