—ফাইল চিত্র।
অসমিয়ার সংজ্ঞা নির্ধারণ করবে রাজ্য বিধানসভা। বিধানসভা যতক্ষণ না অসমিয়ার সংজ্ঞা নিরূপণ করছে তত ক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকার অসম চুক্তির ষষ্ঠ দফা রূপায়ণে এগোতে পারবে না। আসু গত কাল অসম চুক্তির ষষ্ঠ দফা রূপায়ণ কমিটির সুপারিশ প্রকাশ করার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই কথা জানান।
হিমন্তের কথায়, “সব জেনেও এই ভাবে কেন্দ্রকে দায়ী করে গোপন প্রতিবেদন ফাঁস করায় জটিলতা বাড়া ভিন্ন কিছুই হল না। আসু আগে অরাজনৈতিক মঞ্চ ছিল। কিন্তু এখন রাজনৈতিক দল হয়ে গিয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবেই এ কাজ করেছে তারা। অসম সরকার চুক্তি রূপায়ণে দায়বদ্ধ ও আন্তরিক।”
তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়টি প্রথমে বিধানসভায় উত্থাপন করবে। বিতর্কের পরে সর্বসসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরে তবেই কেন্দ্র এগোবে। এ ক্ষেত্রে কমিটির ১২ জন সদস্য অসমিয়ার সংজ্ঞা ঘোষণা করে দিলেই চলবে না। কমিটি বলেছে অসমিয়ার ভিত্তিবর্ষ হবে ১৯৫১। কিন্তু কী ভাবে তার শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলবে— সেই বিষয়ে কমিটি চুপ। সে ক্ষেত্রে ১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে নতুন করে এনআরসি করতে হতে পারে। কারণ ১৯৫১ সালের জমির নথি বহু ভূমিপুত্রের হাতেও নেই।” হিমন্ত জানান, কমিটি নিজেই সরকারকে সুপারিশ রূপায়ণে ২ বছরের সময় দিয়েছে। এ-ও বলেছে, সুপারিশে থাকা জটিল বিষয়গুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।