ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগেও মোদী সরকার রাজ্য সরকারের প্রতি বৈষম্য করছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের জন্য যে সব আইনজীবীর নাম সুপারিশ করেছিল, তাঁদের মধ্যে যিনি কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বা এএসজি ছিলেন, তাঁকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছে। কিন্তু যাঁরা রাজ্য সরকারের আইনজীবী ছিলেন, তাঁদের এখনও বিচারপতি নিয়োগ করা হয়নি।
বিচারপতি কৌশিক চন্দ মোদী সরকারের এএসজি ছিলেন। তিনি বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন যুক্তি দেখিয়ে সম্প্রতি তাঁর এজলাস থেকে নন্দীগ্রাম মামলা সরানোর দাবি উঠেছে। তিনি ২০১৯-এর অক্টোবরে হাই কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, ২০১৯-এর ১ জুলাই থেকে ২০২০-র ১ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য কত জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে? তাঁদের মধ্যে থেকে কেন্দ্রের প্রাক্তন এএসজি-কে নিয়োগ করা হয়েছে, কিন্তু রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের নিয়োগ করা হয়নি, এটা সঠিক কি না? সঠিক হলে এর কারণ কী? উত্তরে আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, ওই সময় কালে সাত জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। দু’জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তদানীন্তন এএসজি রয়েছেন। বাকি পাঁচ জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে।
তৃণমূলের বক্তব্য, ওই পাঁচ জনের মধ্যে রাজ্যের আইনজীবী জয়তোষ মজুমদার, অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। কল্যাণ বলেন, “এক জন কেন্দ্রের এএসজি ছিলেন, তাঁকে নিয়োগ করা হল।
বাকিদের হল না কেন? রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের এই শত্রুতার মনোভাব কেন?” তাঁর প্রশ্ন, “সুপারিশ নিয়ে আলোচনা তো যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।” আইন মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টে ৭১টি বিচারপতি পদের মধ্যে ৪১টিই খালি রয়েছে।