আগামী ৩ দিন উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফাইল চিত্র
বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের কনকনে ঠান্ডায় কাবু হয়েছিল রাজধানী-সহ উত্তর-পশ্চিম ভারত। গত ১০ বছরে এই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ধরে শৈত্যপ্রবাহের জেরে তাপমাত্রা, পারদ নামার খেল দেখিয়েছে। কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে দিল্লিবাসী সামান্য রেহাই পেলেও ফের হাড়কাঁপানো ঠান্ডা নিয়ে উত্তর-পশ্চিম ভারতে ইনিংস খেলতে চলে এসেছে শৈত্যপ্রবাহ। রবিবার সকাল থেকেই দিল্লির তাপমাত্রার পরিবর্তনে তার আভাস মিলেছে। রবিবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। মৌসম ভবন সূত্রের খবর, সোমবার সকালে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মরসুমে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
দিল্লি ছাড়াও পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের একাংশ, চণ্ডীগড় এবং রাজস্থানের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের ফলে তাপমাত্রা কমতে দেখা গিয়েছে। আগামী ৩ দিন উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। আবহবিদদের অনুমান, উত্তর-পশ্চিম ভারত ছাড়াও মধ্য ভারতের একাংশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় উত্তর ভারতে বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলছে।
শৈত্যপ্রবাহের কারণে রাজস্থানের উদয়পুরে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলগুলিকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ১৮ জানুয়ারির পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রা উপরের দিকে চড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহের জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের আগামী কয়েকদিন নির্দিষ্ট কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছে মৌসম ভবন। রবিবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। খুব প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদেরা। এই সময় কী ধরনের গরম পোশাক পরতে হবে, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
মৌসম ভবনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে, শুধু মাত্র একটি গরম জামা না পরে একাধিক গরম পোশাক পরা উচিত। গায়ে চেপে থাকবে এমন গরম জামার বদলে অনেকগুলি আলগা পোশাক একটির উপর আরেকটি পরে নিলে শীতকে ঠেকানো যাবে। আবহবিদদের মতে, যদি শৈত্যপ্রবাহ বা প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে দিল্লিবাসীরা এ ভাবেই গরম উলের পোশাকের স্তর তৈরি করে শীত প্রতিরোধ করতে পারেন। এ ছাড়া দিল্লিবাসীকে মাথা, গলা, হাত এবং পায়ের পাতা ঢেকে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।