বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে স্পিতি উপত্যকা। ছবি: পিটিআই।
উত্তর ভারত জুড়ে হুড়মু়ড়িয়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ। তাপমাত্রা এতটাই নেমেছে যে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ এবং মধ্যপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তার পর পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে। ফলে শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি থেকে কিছুটা রেহাই পাবে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম, মধ্য এবং পূর্ব ভারতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কমবে। অন্য দিকে, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
দিল্লিতে রবিবার এই মরসুমের সবচেয়ে শীতলতম দিন ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লোধী রোডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজস্থানের ফতেপুর এবং চুরুতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। ফতেপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। অন্য দিকে, চুরু এবং সিকরে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। অমৃতসরেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে পৌঁছেছে।
রাজস্থানের সিকরে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
পশ্চিমবঙ্গেও তাপমাত্রার পারদ নামবে আগামী দু’দিন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। এই পরিস্থিতি দু’দিন থাকার পর ফের পারদ চড়বে। শনিবার কলকাতায় ছিল এই মরসুমের শীতলতম দিন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে হয়েছে ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাবাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম।