অনেকে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিছক মজাচ্ছলে বা নেটমাধ্যমে নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। তেমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে কর্নাটকে। শিউরে ওঠা সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
ছবি সৌজন্য টুইটার।
সাপ নিয়ে খেলবেন না! সাপের প্রসঙ্গ এলে এই কথাটা বার বার ঘুরে ফিরে আসে। অভিজ্ঞ কোনও ‘স্নেকক্যাচার’ ছাড়া সাপ নিয়ে কেরামতি দেখাতে যাওয়া বা সাপ ধরার ধৃষ্টতা দেখানো যে উচিত নয় এবং তার পরিণামে যে প্রাণঘাতীও হতে পারে এমন ঘটনা দেশের নানা প্রান্ত থেকে বার বারই উঠে এসেছে। কিন্তু তার পরেও অনেকে অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিছক মজাচ্ছলে বা নেটমাধ্যমে নিজের সাহসিকতার পরিচয় দিতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। তেমনই একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে কর্নাটকে। শিউরে ওঠা সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
মাজ সৈয়দ। কর্নাটকের সিরসার যুবক। সাপ ধরতে নাকি তিনি ভালবাসেন। বিপদ কখনও বলেকয়ে আসে না। কিন্তু অত্যুৎসাহী এই যুবক সাপ নিয়ে কেরামতি দেখাতে গিয়ে নিজেরই বিপদ ডেকে আনলেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একটি বাগান বা কোনও ক্ষেত। সেখানে তিনটি গোখরো ফণা তুলে রয়েছে। দু’টি বড় এবং একটি তুলনায় ছোট। আর তার ঠিক সামনে বসে আছেন মাজ। কেউ এক জন সেই ঘটনার ভিডিয়ো করছিলেন।
মাজকে দেখা যাচ্ছিল সাপগুলির লেজ ধরে সামনের দিকে টেনে নিয়ে আসছেন। এর ফলে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে সাপগুলি। অতি সন্তর্পণে নিজেকে সামলাচ্ছিলেন মাজ। কিন্তু অতি সাহস দেখানোই তাঁর কাল হল। মাজ সাপগুলির থেকে এক হাত দূরে ছিলেন। হাঁটু মুড়ে বসে গোখরো তিনটির সামনে হাঁটু, হাত নাড়াচ্ছিলেন। ঠিত তখনই একটি গোখরো মাজের হাঁটুতে ছোবল মারে। যার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না মাজ। সঙ্গে সঙ্গে সাপের লেজ ধরে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল গোখরোটি। গোখরোটিকে ছাড়ানোর চেষ্টাও করতে দেখা যায় মাজকে। ভয়ঙ্কর সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করেছেন আইএফএস আধিকারিক সুশান্ত নন্দা। তিনি লেখেন, “এ ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ সাপ নিয়ে কেরামতি দেখায়! সাপেরা সব সময় নড়ানচড়া অনুসরণ করে। একটু এ দিক ও দিক হলেই বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে।’
মাজকে উদ্ধার করে সিরসারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আপাতত তিনি স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।