গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
দেশের সব বিরোধী নেতা এবং অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত হানছে। আর সেই কাজে মোদীর সহায় ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দিয়ে বিরোধী স্বর নির্মূল করতে চাইছে বিজেপি সরকার। এই পরিস্থিতিতে দেশের অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতাদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানালেন তিনি। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘আমি সকলের কাছে আবেদন জানাতে চাই, আসুন আমরা একজোট হয়ে একটি বৈঠকে বসি। সময়ের দাবি মেনে এই অত্যাচারী সরকারের সমস্ত প্রগতিশীল শক্তিকে জোট বাঁধতে হবে।’
কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে বিরোধীদের উদ্দেশে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। দেশের সমস্ত বিরোধী নেতানেত্রী ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা সরাসরি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজনৈতিক বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।’
তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়লেই সক্রিয় হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর নিশানায় একমাত্র বিরোধীরা, আর বিজেপি শাসিত প্রদেশ এই সব কিছুর ঊর্ধ্বে। তিনি লিখেছেন, ‘যে ভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রীরা আদালতের নির্দেশকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন, তা আমার কাছে বেদনাদায়ক।’ বিচারব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘কিছু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সাধারণ মানুষ সুবিচার থেকে বঞ্চিত থাকছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক সঙ্কেত। একাধিক বার বিচারব্যবস্থার অংশ বিশেষকে প্রভাবিত করে বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত হানছে।’ মমতা লেখেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা আমাদের কর্তব্য, কৃতকর্মের জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দায়বদ্ধতা স্থির করার। বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমনের হাত থেকে বাঁচানো।’
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় মঙ্গলবারই ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে ইডি-র দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা এড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।