হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতীকী ছবি।
স্কুলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর। গুজরাতের রাজকোটের ঘটনা। স্কুলে প্রার্থনার পর ক্লাসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। তার পরই জ্ঞান হারায় সে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
স্কুলে প্রার্থনার পর ক্লাসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে রিয়া নামের ওই ছাত্রী। এর পরই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রবল শীতের মধ্যে ওই ছাত্রী পাতলা পোশাক পরে স্কুলে গিয়েছিল। যার জেরে ঠান্ডায় রক্ত জমাট বেঁধে ওই ছাত্রী হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। স্কুলে পড়ুয়ারা যাতে গরম পোশাক পরে যায়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠান্ডায় স্কুল শুরুর সময় সকাল ৭টার বদলে ৮টা করার দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ দোশি।
ঠান্ডায় হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ৯৮ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি করোনা অতিমারি পর্বের পর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা খবরের শিরোনামে এসেছে। গত ২৫ নভেম্বর বারাণসীতে একটি বিয়েবাড়িতে নাচ করার সময় আচমকা মৃত্যু হয় ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। তিনিও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানান চিকিৎসকরা। মধ্যপ্রদেশে বাস চালাতে চালাতেই আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন চালক। স্টিয়ারিংয়ের উপর ঢলে পড়েন তিনি। নিয়ন্ত্রণহীন বাস তার পর সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর, আহত হন একাধিক। কাটনির সাই মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজেশ মেহানি নামে এক ব্যক্তির। মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার বাখারি গ্রামে বিয়েবাড়িতে গানের তালে নাচতে নাচতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার।