দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার সঙ্গে দিল্লির আম আদমি পার্টি (আপ) সরকারের সংঘাত আজ আরও নাটকীয় মোড় নিল।
উপরাজ্যপালের সঙ্গে আপ সরকারের চরম টানাপড়েন গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। কাল সন্ধ্যায় দিল্লির ডিডিসি (ডায়লগ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিশন)-র চেয়ারপার্সন জেসমিন শাহের অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন সাক্সেনা। আজ সেই মতো জেসমিনের ঘর বন্ধ করে দরজায় উপরাজ্যপালের নির্দেশের নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় জেসমিনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। যার মধ্যে তাঁর অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে তাঁর গাড়ি, সব কিছুই উপরাজ্যপালের নির্দেশে কাড়া হয়েছে। সাক্সেনার অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে তাঁর সরকারি পদের অপব্যবহার করছেন জেসমিন। অবিলম্বে জেসমিনকেপদ থেকে সরানোর কথাও সাক্সেনা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে জানিয়েছেন।
বস্তুত, জেসমিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মাসখানেক আগেই এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ পরবেশ বর্মা। জেসমিন তখন ডিডিসি-র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করে দিল্লির মন্ত্রিসভা। জেসমিনের এই পদ কার্যত যে কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর সমতুল্য। কিন্তু পরবেশের অভিযোগ ছিল, ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিজের পদের অপব্যবহার করে আপ সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন জেসমিন। এমনকি জেসমিনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ভাবে সরকারি দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগও তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ। যার প্রেক্ষিতে জেসমিনকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়। কিন্তু এত সব অভিযোগের পরেও জেসমিনের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জেসমিনের দাবি, ডিডিসি-র দফতরের পদ যে হেতু দিল্লির মন্ত্রিসভার হাতে, তাতে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ উপরাজ্যপাল করতে পারেন না।
আজকের ঘটনার পরে টুইট করে উপরাজ্যপালকে বিঁধেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। মাসখানেক আগে উপরাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিসৌদিয়ার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। মণীশ টুইটারে লিখেছেন, ‘আপের মুখপাত্র বলে উপরাজ্যপালের নির্দেশে জেসমিনের অফিস বন্ধ করে দেওয়া হল। তা হলে আইটিডিসি-র চেয়ারম্যান সম্বিত পাত্রের অফিসও বন্ধ করে দেওয়া উচিত, কারণ উনি বিজেপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র’।