সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র।
দেশে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের নিয়ে যে ধারণা ছিল, সেই ধ্যানধারণায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক আলোচনাচক্রে এই মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বিভিন্ন সরকারি বৈঠক, প্রশিক্ষণ এবং নীতি নির্ধারণ স্তরে পদক্ষেপের কারণেই এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
শনিবার বেঙ্গালুরুতে ওই আলোচনাচক্রে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, “বিশেষ ভাবে সক্ষমদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের প্রতি আরও সংবেদনশীলতা আনার উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক কর্তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য একাধিক রাজ্যের কমিশনের তরফে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নীতি নির্ধারণ স্তরের কমিটির সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হচ্ছে।”
শুধু তা-ই নয়, পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে হায়দরাবাদের আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। গবেষণা ক্ষেত্রে অনুদান থেকে শুরু করে সামাজিক গঠনমূলক কাজকর্মে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির পাশে দাঁড়ানোর মতো দিকগুলির কথাও তুলে ধরেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও নজর দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। বিশেষ করে যে প্রতিবন্ধকতাগুলি চোখে দেখা যায় না (নন-ভিজ়িবল ডিজ়েবিলিটি)। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জানান, গবেষণায় উঠে এসেছে যাঁদের এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাঁরা সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি প্রকাশ করতে পারেন না। তাঁরা ভয় পান হয়তো এটি প্রকাশ্যে এলে কর্মস্থলে তাঁদের নামের সঙ্গে একটি ‘কলঙ্ক’ জুড়ে যাবে, বা তাঁর প্রতি ‘পক্ষপাতিত্ব’ করা হবে। প্রধান বিচারপতির মতে, এই সমস্যাটি তৈরি হয় কারণ এখনও অনেকের ধারণা রয়েছে যে, বিশেষ ভাবে সক্ষমদের মধ্যে খামতি রয়েছে। এই বিষয়টিতেও পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।