নতুন নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত অসম। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে বাড়তে থাকা উত্তপ্ত পরিস্থিতি এবং একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর দলত্যাগের জেরে সমর্থন ফিরিয়ে নিয়ে এ বার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপির শরিক দল আসম গণ পরিষদ।
বুধবার সংসদে এই বিল পাশ হয়। পরদিন অর্থাত্ বৃহস্পতিবারই তা আইনে পরিণত হয়। বুধবার সংসদে বিল পাশের সময় নতুন নাগরিকত্ব বিলে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল অসম গণ পরিষদ। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে যে ভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে অসমের বিভিন্ন অঞ্চল, তার প্রেক্ষিতেই অসমে বিজেপির এই শরিক দল ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে বাধ্য হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।
শনিবার এই দলের নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই স্থির হয় যে, তাঁরা নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেবে এবং তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। এই দলের নেতা-মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করারও পরিকল্পনাও করেছেন।
কার্ফু শিথিল হওয়ার পরে গুয়াহাটির রাস্তায় নেমেছে গাড়ি। ছবি: পিটিআই।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদের রোষ অব্যাহত রাজ্যে, বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত নয়: মুখ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবারের পর থেকে অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তার জেরে অনেকেই দলের উচ্চস্তরের নেতাদের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেন। তাঁরা আমজনতার মনোভাব তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, এই বলে ইতিমধ্যে দল থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভ, অশান্তি অব্যাহত রাজ্যে, জেলায় জেলায় মিছিল, অবরোধও
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা জগদীশ ভুঁইয়া, যিনি আবার অসম পেট্রোকেমিকেল লিমিটেডের চেয়ারম্যানও, গত শুক্রবার দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অসমের সুপারস্টার যতীন বরা বৃহস্পতিবারই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “সিএবি আমি সমর্থন করি না। অসমের সাধারণ মানুষই আমাকে যতীন বরা করে তুলেছেন, এই বিষয়ে আমি তাঁদের সঙ্গেই রয়েছি।” কিছু দিন আগে রবি শর্মা নামে অসমের অন্য এক অভিনেতাও এই একই ইস্যুতে বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।