Citizenship Amendment Act 2019

‘দাঙ্গা বন্ধ করুন’, কড়া বার্তা প্রধান বিচারপতির

এই দুটি ঘটনা নিয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বিষয়টি দেখার জন্য সোমবার শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

দাঙ্গা বন্ধ করুন। সোমবার এমনই বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্টসংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবার উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল একই দিনে।

Advertisement

এই দুটি ঘটনা নিয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ বিষয়টি দেখার জন্য সোমবার শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন করেন। দেশ জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি। আরও এক বরিষ্ঠ আইনজীবী কলিন গনজালভেস জামিয়ার ঘটনাটি নিয়ে শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান।

সোমবার আবেদনটি আদালতে উঠলে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানিয়ে দেন, আজ নয়, বিষয়টি শোনা হবে মঙ্গলবার। সেই সঙ্গে তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, হিংসা যদি এমন ভাবেই চলতে থাকে এবং সরকারি সম্পত্তি যদি এ ভাবে নষ্ট করা হয়, তা হলে এই বিষয়টি শুনবে না আদালত। এর পরই তিনি বলেন, “কেন সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে? বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে! যাঁরা এ সব অশান্তি করছেন, আগে তাঁরা এ সব বন্ধ করুন।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমরা অধিকারের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু আগে এই অশান্তির আবহ কাটুক। অধিকার এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরোধী নই আমরা।”

Advertisement

রবিবার দুপুর থেকেই দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, মাতা মন্দির রোড, মথুরা রোডে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। বেপরোয়া লাঠি চালায় পুলিশ। বেশ কিছু বাইক ও দিল্লি পরিবহণ নিগমের তিনটি বাস জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকের অভিযোগ, পুলিশ নিজেই বাসে আগুন ধরিয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আক্রান্ত হন দমকলকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই চত্বরে মেট্রো রেলের একাধিক স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর পরেই পুলিশ জামিয়া ক্যাম্পাসে চড়াও হয়। ক্যাম্পাসের গেটে বেধড়ক লাঠিপেটা করার পাশাপাশি বেশ কয়েক জনকে আটকও করা হয়। জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। সে সময় বহু ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁদের অনেকেই পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হন। অভিযোগ, শৌচাগারে ঢুকেও পড়ুয়াদের যথেচ্ছ পিটিয়েছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদেরও বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। লাইব্রেরির বাইরে ছাত্রছাত্রীদের মাথার উপরে হাত তুলে লাইন দিয়ে হাঁটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দেওয়া হয়। জামিয়ার বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রীকে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement