কৃতজ্ঞতায় হাজ্জিকে জড়িয়ে ধরেছেন অজয়। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
হ্যাঁ, এমনটাও হয়। বিক্ষোভকারীরা শুধুই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়েন না। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট পাথর, আক্রমণের মুখে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়া পুলিশকর্মীকে বাঁচিয়েও দিতে পারেন প্রতিবাদীদেরই কেউ কেউ। মানবিকতার খাতিরে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যখন উত্তাল লখনউ, বিজনৌর-সহ গোটা উত্তরপ্রদেশ, তখন গত সপ্তাহে এই ঘটনা ঘটেছে ফিরোজাবাদে।
গত শুক্রবারের হিংসার ঘটনায় যখন উন্মত্ত জনতা বেধড়ক মারধর করছেন অজয় কুমার নামে এক পুলিশকর্মীকে, তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছে, রক্ত ঝরছে মাথা থেকে, তখন আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি বিক্ষোভকারীদেরই এক জন। ওই গুরুতর জখম পুলিশকর্মীর দিকে ছুটে গেলেন হাজ্জি কাদির নামে এক যুবক। অজয়কে বিক্ষোভকারীদের কবলমুক্ত করে নিয়ে গেলেন তাঁর বাড়িতে। তাঁর মাথায় জল দিলেন। বরফ ঘষে দিলেন রক্তপাত বন্ধ করতে। তার পর আশপাশের এলাকা কিছুটা শান্ত হয়ে আসতে হাজ্জিই অজয়কে নিয়ে গেলেন কাছের পুলিশ স্টেশনে। তাঁকে পুলিশের হেফাজতে তুলে দিলেন।
অজয় কবুল করেছেন সেই ভয়াবহ ঘটনার মধ্যেই তিনি জড়িয়ে ধরেছিলেন হাজ্জিকে। তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর রক্ষাকর্তা এসে গিয়েছেন!
অজয় বলেছেন, ‘‘উনি যেন সে দিন দেবদূতের মতোই এসেছিলেন। না এলে সে দিন আমি মরেই যেতাম।’’
অজয় জানিয়েছেন, হাজ্জিই তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে তাঁর শুশ্রুষা করেছিলেন। হাতে, মাথায় খুব জোর চোট পেয়েছিলেন অজয়। হাজ্জি জল, বরফ এনে দিলেন। রক্ত মুছিয়ে দিলেন। রক্ত মুছিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে এলেন কাপড়। শুধু তাই নয়, ঘর থেকে নিজের জামাকাপড় বের করে অজয়কে বলেন পুলিশের উর্দি ছেড়ে সেগুলি পরে নিতে। পরে হাজ্জিই আমাকে দিয়ে যান পুলিশের হেফাজতে।’’